একটা কিংবা দুটো নয়। একই সারিতে পর পর ৩টা বিশাল বিশাল গ্রাউন্ডস। ইনডোর-আউটডোর মিলিয়ে সেখানে স্থাপন করা আছে ৮৬টি উইকেট, বিশ্ববিখ্যাত জিম সুবিধা কিংবা অ্যাথলেটিক ট্র্যাক। কী নেই সেখানে?
আছে চোটে পড়া খেলোয়াড়দের জন্য স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিকেলের সু-ব্যবস্থা। কী নেই- বোধহয় এটাই হতে পারে প্রশ্ন। বলছিলাম বেঙ্গালুরুতে গত রোববার উদ্বোধন হওয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির কথা।
যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সিলেন্স’। এমন একাডেমির গল্প শোনার পর নিজ দেশে একই ধরনের একাডেমির কাছাকাছি মানের একটির স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল।
কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের পর সম্প্রচার চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানে এসে তামিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশেও এমন কিছু করতে বর্তমান বিসিবি পরিচালকদের বলবেন তিনি।
৪০ একর জমির ওপর নির্মিত এই একাডেমিতে আইসিসির গাইডলাইন্স মেনে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ আয়োজন সম্ভব। লাল ও কালো মাটি মিলিয়ে সেখানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা বেশ কিছু উইকেট স্থাপন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আছে মুম্বাইয়ের লাল মাটির ১৩টি ও কালান্দির কালো মাটির ৯টি উইকেটও। মূল মাঠের বাইরে নেট অনুশীলনের জন্য রাখা আছে ৪৫টি আলাদা উইকেট।
এমন গল্প শোনার পর তামিম বলেন, ‘আমি আমার বোর্ডের বর্তমান সদস্যদের বলব, সেখানে যেতে এবং এরকম একাডেমি আমাদের দেশেও স্থাপন করতে।’
প্রয়োজনে বিসিসিআইর সঙ্গে কথা বলে হলেও একাডেমিটি একবার ঘুরে দেখা উচিত বলেও মনে করেন তামিম। এ সময় ক্রিকেট উন্নয়নে ভারতের উদ্যোগগুলোর প্রশংসাও করেন তিনি।
বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) একটি একাডেমি আছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম সংলগ্ন একাডেমিটিতে হয় নানা রকম কার্যক্রম। ভেতর আছে বিসিবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের অফিসও।
আবার মাঝে মাঝে এই ভবন ক্রিকেটারদের বাসায় রূপ নিয়ে থাকে কিংবা বিভিন্ন ক্যাম্প ঘিরে হোস্টেল। আর বিসিবির জিম সেই ২০১১ বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে সংস্কার হয়েছিল; তারপর আর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনও আসেনি।
কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়লেও এখানে রিহ্যাবের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে না। অথচ বিসিসিআইর একাডেমিটি পুরোই ভিন্ন। এখানে রিহ্যাবের পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধি বাড়াতেও কাজ করা হয়।
নতুন নির্মিত একাডেমির গ্রাউন্ড ‘এ’ ৮৫ ইয়ার্ড বাউন্ডারিবেষ্টিত। বাকি দুটির দৈর্ঘ্য ৭৫ ইয়ার্ড। তবে গ্রাউন্ড ‘এ’-তে ফ্লাডলাইট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ব্রডকাস্ট সুবিধা রাখা হয়েছে। এই ভেন্যুর পৃষ্ঠে স্থাপন করা ১৩টি ভেন্যুই মুম্বাইয়ের লাল মাটিতে তৈরি। ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ অ্যাথলেটিক ট্র্যাক।
আরও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত করে গড়া এই বিশেষ একাডেমিতে আগামী বছর থেকেই সুযোগভোগী হবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
মন্তব্য করুন