ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। তবে চেন্নাইয়ের দ্রুতগতির পিচের পর কানপুরের পিচ কেমন হবে এ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে ভক্তদের। এবার ভারতীয় গণমাধ্যম জানাল কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট সম্পর্কে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও ইএসপিএন ক্রিকইনফো এই টেস্টের উইকেট ধীরগতির এবং বাউন্স কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রথম টেস্টে চেন্নাইয়ের পিচে যেখানে তৃতীয় পেসার খেলার সুযোগ ছিল, সেখানে কানপুরের অবস্থায় তেমন কিছু দেখা যাবে না। চেন্নাইয়ের ম্যাচের তুলনায় এখানে পিচে থাকবে নিম্ন বাউন্স এবং ধীরে ধীরে ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে পিচটি আরও মন্থর হয়ে উঠবে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রিন পার্কে ব্ল্যাক সয়েল পিচ থাকায় প্রথম টেস্টের তুলনায় এখানে বাউন্স অনেক কম হবে। চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে রেড সয়েল পিচ ছিল, যা মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল এবং এর ফলে বলের বাউন্স ও ক্যারি ভালো হয়েছিল। সে কারণেই দুই দল তিনজন পেসার ও দুইজন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাররা ভালো দাপট দেখালেও, ম্যাচ যত গড়ায় স্পিনাররাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। শেষ পর্যন্ত রবিচন্দ্রন অশ্বিন ছয়টি উইকেট নেন এবং রবীন্দ্র জাদেজার সহায়তায় বাংলাদেশ ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায়, ফলে ২৮০ রানে হারতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
কানপুরের পরিবর্তিত পরিস্থিতি উভয় দলের পরিকল্পনায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে ফাস্ট বোলারদের মধ্যে একজনকে বসিয়ে স্পিনার কুলদীপ যাদব বা অক্ষর প্যাটেলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জসপ্রীত বুমরাহ বা মোহাম্মদ সিরাজের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। এমনকি উত্তর প্রদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটার যশ দয়ালকেও প্রথমবারের মতো টেস্টে অভিষেক করার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তিনি কানপুরের পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।
এই টেস্ট হবে গত আট বছরে কানপুরের মাত্র তৃতীয় টেস্ট। এর আগে ২০১৬ এবং ২০২১ সালে এখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট হয়েছিল। ২০১৬ সালে ভারত ১৯৭ রানে জিতেছিল, তবে ২০২১ সালের টেস্টে নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত প্রতিরোধ দেখিয়ে ম্যাচটি ড্র করে। উভয় ম্যাচই পাঁচ দিন ধরে চলে। ২০২১ সালে ভারত তিনজন স্পিনার খেলায়, তবে ২০১৬ সালে কেবল অশ্বিন এবং জাদেজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কানপুরের পিচের প্রকৃতি ধীরে ধীরে স্পিনারদের জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে, যার ফলে পেসারদের প্রভাব প্রথম টেস্টের তুলনায় কম থাকতে পারে এখানে।
মন্তব্য করুন