ভারতের মাটিতে টেস্টে ড্র বা জয় তো দূরের কথা বিন্দুমাত্র লড়াইয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আগে তিন ম্যাচের সবগুলোতে বড় ব্যবধানে হেরে ছিল টাইগাররা। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।
চেন্নাই টেস্টে ২৮০ রানে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে হারিয়েছে ভারত। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল রোহিত শর্মার দল। আলোক স্বল্পতার কারণে চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল একটু আগেভাগেই। রাতে বৃষ্টিও হয়। তবে চতুর্থ দিনের সকালে ছিল না বৃষ্টি। ফলে নির্ধারিত সময়ে মাঠে গড়ায়।
মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ভারতীয় পেসারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের ব্যাটারদের। প্রশ্ন ছিল কত সময় ঠিকতে পারবেন শান্ত-সাকিব-লিটনরা। আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তবে সাকিবের বিদায়ের পর ভেঙে যায় সকল প্রতিরোধ। ৪ উইকেটে ১৯৪ থেকে ২৩৪ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ১৪৯ রানে।
আর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ৪ উইকেটে ৮৭ রানে ঘোষণা করেছিল দ্বিতীয় ইনিংস। সব মিলিয়ে রোহিত-কোহলিরা জয় পেয়েছেন ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে।
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারিয়ে পানি পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ফিরে এসে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন ব্যাটাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল। ১২৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ইংনিসটি সাজান তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভাতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেটে শিকার করেন অশ্বিন। আর জাদেজা নেন একটি উইকেট। বাকি উইকেটটি জায়গা বুমরার দখলে।
যদিও চতুর্থ দিনের শুরু হয় ভালো করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে বুমরার একটি বল সাকিবের আঙুলে লাগে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। জীবনও পান একবার। জাদেজার বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সাকিব। গ্লাভসে নিতে পারেননি ঋষভ পান্ত।
চতুর্থ দিনে বোলিংয়ে সাকিবকে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন। ৫৬ বলে ৩ চারে ২৫ রান করেন তিনি। টেস্টে চলছে তার ব্যাটে রান খরা। এ নিয়ে ৭ ইনিংসে অর্ধশতক নেই বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের।
এরপর জাদেজা ফিরিয়ে দেন ১ রান করা লিটন দাসকে। মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরে যান দ্রুত। ৮২ রান করা শান্তকে সাজঘরের পথ দেখান জাদেজা। এরপর তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ আউট হলে, প্রথম সেশনেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
৮৮ রানে ৬ উইকেট নেন অশ্বিন। ৫৮ রানে তিন উইকেট জাদেজার। এ নিয়ে ৪ বার একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট পেলেন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে ১১৩ রান করা এ অলরাউন্ডার জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
মন্তব্য করুন