পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই হোয়াইট ওয়াশ। এমন অভানীয় সাফল্য নিয়ে ভারত সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। নতুন সিরিজ তাই পুরোনো সবকিছু ভুলে যেতে চান টাইগাররা। পাকিস্তানের চেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। তাই এ সিরিজের জন্য কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন শান্তরা?
এর জবাবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যেটা বললেন, এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। এটা নতুন সিরিজ। ড্রেসিংরুমের বিশ্বাস, আমরা এখানেও খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। আমরা ফল নিয়ে ভাবছি না। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে চাই।’
ভারতের মাটিতে তাদের হারানো যে কোনো দলের জন্য কঠিন। এ কথা স্বীকার করে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই। সবচেয়ে কঠিন একটি প্রতিপক্ষ, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। কিন্তু প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে নিজেদের নিয়ে চিন্তা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলটার সেই সামর্থ্য আছে যে এখানে ভালো ক্রিকেট খেলা।’
তবে প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের অনুযায়ী খেলার কথা জানান টাইগার দলপতি, ‘পাঁচ দিনের একটা ম্যাচ, এই পাঁচটা দিন আমরা কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। লক্ষ্য তো একটাই থাকে আমরা প্রতিটি ম্যাচটা জিতব, সব আন্তর্জাতিক দলেরই এই লক্ষ্য থাকে। আমাদেরই একই লক্ষ্য। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো করা প্রয়োজন, আমরা ওগুলোই করব। ফল নিয়ে যদি বলেন, পঞ্চম দিনে শেষ সেশনে গিয়ে আমাদের রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা। তার আগ পর্যন্ত আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’
এ পর্যন্ত ভারতে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। এ সিরিজে ভালো করতে পারলে ভারতের মাটিতে খেলার সুযোগ বাড়বে বলে বিশ্বাস শান্তর, ‘অবশ্যই এ ধরনের সিরিজ যদি ভালো করতে পারি, প্রতিটি দলই হয়তো আমাদের সঙ্গে আরও বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে চাইবে। এটা একটা অনেক বড় সুযোগ যে এখানে আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আশা করি, বাংলাদেশ দল এখন যেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে, আমার মনে হয় সব দল আমাদের সঙ্গে খেলার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।’
দলের বোলিং শক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘যেটা বলেছি আমি ফল নিয়ে ভাবছি না। প্রক্রিয়াটা নিয়ে ভাবছি। যে পাঁচ-ছয়জন বোলার আছে তারা সবাই দীর্ঘ সময় ধরে ভালো জায়গায় বল করতে পারে। আশা করি, পাঁচ-ছয়জন বোলার নিজেদের কাজটা করবে।’
ভারতীয় কন্ডিশনে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আমরা কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। আমরা শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছি। নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচটা ভালো হবে।’
আবেগপ্রবণ বাংলাদেশ দলের কতটা উন্নতি হয়েছে, এর জবাবে টাইগার দলপতি বলেন, ‘হ্যাঁ, কারণ অনেকেই ১০-১৫ বছর ধরে খেলছে। বেশির ভাগই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তাই কয়েক বছর ধরে কেউ সেভাবে আবেগাক্রান্ত হয় না। আমরা এখন নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবি। হারলে কিংবা জিতলে কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবি না। নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি।’
চেন্নাইয়ের উইকেট নিয়ে নিজের ভাবনা জানান শান্ত, ‘উইকেট যতটুকু দেখে বুঝেছি, ভালো একটি উইকেটই হবে। খুব বেশি স্পিন বা পেস বোলিং, এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।’
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করে। দেশে অনুশীলনের সময় এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত।
মন্তব্য করুন