দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে ভারতে রয়েছে বাংলাদেশ দল। চেন্নাইয়ে দুই টেস্টের প্রথমটি মাঠে গড়াবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। এই টেস্টকে সামনে রেখেছে অনুশীলন শুরু করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বোরবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত যায় টাইগাররা। এ সফরে সোমবার (১৬) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো অনুশীলন করে শান্ত-লিটনরা। ব্যাট-বলের অনুশীলনে ব্যস্ত দিনই পার করেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। দলের ব্যস্ত ছিলেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে।
এদিকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্মৃতি এখনো টাটকা। সেই টাটকা স্মৃতি নিয়ে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ সফরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সের কারণে এ সিরিজ নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা। সর্বশেষ ভারত সফরে দুটি টেস্টেই ইংনিস ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। এরপরও ভারতের সর্বমহলে সমীহ পাচ্ছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
বর্তমান বাংলাদেশ দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলছেন ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষকেরা। বাংলাদেশ দল নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের বহুল প্রচলিত গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম করা হয়েছে ‘ভারত বনাম বাংলাদেশ : কেন এই বাংলাদেশ দল দুর্বল নয়।’
বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে টাইগারদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে বেশ গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের বাজে অবস্থাতেও হাল না ছাড়ার মানসিকতা দেখায় বাংলাদেশ। এর সেরা উদাহরণ হতে পারে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস। মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা।
সেখান থেকে স্কোর বোর্ডের চিত্র পাল্টে দেয় লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। এমনকি প্রথম টেস্টে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। বড় স্কোরের চাপ সামলে ১০ উইকেট ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। টাইগারদের লড়াকু এ মানসিকতাকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমটি।
বাংলাদেশের স্পিন শক্তি ভাবাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমকে। প্রতিবেদনটির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে চিপকে (চেন্নাইয়ের যেখানে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের অবস্থান) স্পিন বা টার্নিং উইকেট তৈরি পরিকল্পনা থাকলে, তা নিয়ে দুবার ভাবতে হবে ভারতকে।
বাংলাদেশের স্পিন শক্তিকে বিবেচনায় নিতে হবে। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের উইকেট শিকারের উৎসবে মেতে ওঠার সামর্থ্য রয়েছে।
এ দিকে বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে সর্বোচ্চ মানের নয় বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পারফরম্যান্স টাইগার পেসারদের আত্মবিশ্বাসী করতে পারে। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সবগুলো নেন ফাস্ট বোলাররা।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে, ভারতীয় দলকে সতর্ক করেছে গণমাধমটি। চাপে পড়লে সাকিব ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। আর সেই চাপ সামলানোর জন্য দলের অন্য ক্রিকেটারদেরও যথেষ্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
মন্তব্য করুন