দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দুই তারকা নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে একই পথচলা দুজনের। বয়সভিত্তিক দল থেকে সতীর্থ দুজন। দীর্ঘ এ পথ চলায় দুজনের বন্ধুত্ব বেশ গাঢ়। একই সঙ্গে মাতাচ্ছে জাতীয় দলের জার্সিতে।
ভারত সফরের আগে বিসিবির হোম অব ক্রিকেট নামক অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুজন। জানান দুই বন্ধুর নানা অভিজ্ঞতা। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নেয়ার বিষয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে কিভাবে মিরাজ রাজি করান সেটিও উঠে আছে।
রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে মিরাজের উৎসাহটা বেশি দেখা যায়। শুরু নিজের বোলিং কিংবা ব্যাটিং নয়, রিভিউ নিয়ে অন্যদের চেয়ে বেশি উৎসাহ দেখা যায় মিরাজের মাঝে। এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি যদি রিভিউ নেই। যদি ভুলও হয় তারপরও ও (শান্ত) আমাকে বিশ্বাস করে।’
এ সময় মিরাজ মনে করিয়ে দেন, ‘আমি কিন্তু সফলও হয়েছি। শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি কিন্তু চান্দিমালকে রিভিউ নিয়ে আউট করেছিলাম।’ এ বিষয়ে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘এরকম কিছু না (মিরাজকে মানা করতে হয়)। স্বাভাবিকভাবে যেটা হয়, বোলারদের একটা আবেগ তৈরি হয় ওই সময়। কারণ তারা সারাদিন বল করেছে। একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। ওইটা হারাতে চায় না। এরকমও অনেক সময় হয়, মনে হচ্ছে আউট না। দেখা গেল পরে আউট। এরকম জায়গায় কনফিউশন তৈরি হয়।’
মিরাজের আগ্রহ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো ওর (মিরাজের) ওই বিশ্বাসটা থাকে। আর ও কনভেন্স করে ফেলে। ও যেটা বললো, সফলও হয়। আমাদের উপমহাদেশে একটু কঠিন উইকেটের কারণে। খেয়াল করে দেখবেন, আমি রিভিউ নেই শেষ সেকেন্ডে বা দুই সেকেন্ড আছে সেই সময়ে। চিন্তা করে নেই। দেখা যায় যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা রিভিউ। তবে ইনটেনশন তো ভালো থাকে।’
রিভিউ নিয়ে শান্ত আরও বলেন, ‘একটা জিনিস যেটা হয়, এটা যে ও (মিরাজ) করে তা না। বেশিরভাগ বোলাররাই কিন্তু এই জিনিসটা (রিভিউ নিতে আগ্রহ) করে। আবার এই জিনিসটায় (রিভিউ) যখন সফল হয় না, তখন অনেক সময় কিন্তু ভালো পরিবেশ তৈরি করে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবার অনেক সময় দেখা যায় এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা হচ্ছে। আমার তো ভালোই লাগে।’
মন্তব্য করুন