যে কোনো সিরিজের আগে নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে ঘিরে পরিকল্পনা সাজানো নতুন কিছু নয়। বিশ্বের প্রায় দেশই এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আর গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের অনুশীলনে বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষের শক্তি অনুযায়ী বোলার নির্বাচন করে নেওয়া হয় আসন্ন সিরিজের প্রস্তুতি।
গৌতম গম্ভীরের কোচিং একই দর্শন। ম্যাচের কাল্পনিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করে চলে বিশেষ অনুশীলন। বাংলাদেশের দীর্ঘদেহী পেসার নাহিদ রানাকে সামলাতে নিজেদের অনুশীলনে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
পঞ্জাবের গুরনুর ব্রারকে নেট বোলিংয়ে জন্য ডেকে আনা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচ উইকেট শিকার করা টাইগার পেসারের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফলে অনেক উচ্চতা থেকে বল ছাড়েন তিনি। বেশি উচ্চতা থেকে বল ছোড়ায় তার বোলিংয়ের লেংথ ও বাউন্স হয় আলাদা। সে জন্য তাকে মোকাবিলা করতে বাড়তি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ভারতীয় দল।
আগামী ১৯ আগস্ট চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়বে ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, বদলে ফেলা হতে পারে চেন্নাইয়ের উইকেট চরিত্র। সাধারণত এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট হয় স্পিন সহায়ক। তবে জসপ্রিত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজের কথা চিন্তা করে পেসবান্ধব উইকেট তৈরি করার কথা ভাবছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফলে ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের নাহিদও। আর তাকে মোকাবিলা করতে নেট বোলিংয়ে যোগ করা হয়েছে গুরনুরকে। এখন পর্যন্ত ৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আইপিএলে খেলেন পাঞ্জাব কিংসে। মূলত ৬ ফুট ৪.৫ ইঞ্চি উচ্চতা হওয়ার কারণে ভারতীয় অনুশীলনে তাকে আনা হয়েছে।
লম্বা-চওড়া হওয়ায় তিনি উইকেট থেকে বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। গতিও রয়েছে যথেষ্ট। এ দিন বোলিং কোচ মরনি মরকেলকে দেখা যায় তার সঙ্গে কথা বলতে।
মন্তব্য করুন