উপমহাদেশে রাজনীতিতে আসার ঘটনাটি নতুন নয়। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান রাজনীতিতে নাম লেখিয়ে, হয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ছিলেন নিজ দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী। এ ছাড়া রাজনীতিতে নাম লেখিয়েছেন সনাথ জয়সুরিয়াসহ অনেক তারকা ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফীর পর সাকিব আল হাসানের যোগ রাজনীতিতে। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকা অবস্থা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফী (২০১৮ ও ২০২৪) ও সাকিব (২০২৪)। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার মতে অবসরের পর রাজনীতিতে আসা উচিত ক্রিকেটারদের। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না তাদের করা উচিত (একইসাথে খেলা ও রাজনীতি)। অবসরের পর কেউ খেলায় যোগ দিতে পারে, তবে খেলার সময়কালে কখনোই এমনটা করা (রাজনীতি) উচিত নয়। এসব পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।’
রাজনীতি নয় ক্রীড়া উপদেষ্টার মতে বিজ্ঞাপন বা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনৈতিক কিছু যেন না হয় সেই বিষয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডর (বিসিবি) পদক্ষেপ চান তিনি।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু রাজনীতিই নয়, কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আইন এবং মানুষের বিপক্ষে যায়। তারা ব্যবসা করতে পারে। তবে এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকতে হবে যে তারা কি করতে পারে বা কি না করতে পারে। ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার (এন্ডোর্সমেন্ট) অভিযোগ আছে, বাংলাদেশীদের নামেও আছে। তাই আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিত। বিসিবি এটা ঠিক করতে পারবে।’
মন্তব্য করুন