টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ৬ ওভার পাওয়ারপ্লে! এ সময়ে ফিল্ডিং দল সর্বোচ্চ ২ জনকে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে রাখতে পারে। এ সুযোগ নেন ব্যাটাররা। আর এ সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন নজির গড়েছেন অস্ট্রেলিয়া।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায় অসম্ভব এক রেকর্ড গড়েছেন দুই অজি ব্যাটার মিচেল মার্শ ও ট্র্যাভিস হেড। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৪ রান করে স্কটল্যান্ড। জবাবে ৯.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। স্কটিশদের দেওয়া ১৫৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে উইকেট হারায় অজিরা।
প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্ক। গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নজরকাড়া ব্যাটার ৩ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন।
এরপর স্কটিশ বোলারদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেন হেড ও মার্শ। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারে ১ উইকেটে ১১৩ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাওয়ারপ্লেতে এটি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে ১০২ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৩৪ বলে ১১২ রান তোলেন হেড-মার্শ। মাত্র ২৫ বলে ৮০ রান করেন হেড। ১২টি চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা হাঁকান ৫টি। এ ইনিংস খেলার পথে অজি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুত অর্ধশতকের (১৭ বল) রেকর্ড স্পর্শ করেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
এর আগে ২০২২ সালে ১৭ বলে অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েছিলেন মার্কাস স্টাইনিস। মার্শ ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। মার্ক ওয়াটের শিকার হন দুজনই। এরপর উইকেট-কিপার ব্যাটার জস ইংলিসের ১৩ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে অ্যাডাম জাম্পা, শন অ্যাবট ও জাভিয়ের বার্টলেটদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় স্কোর পায়নি স্কটল্যান্ড। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ওপেনার জর্জ মানসে। ম্যাথু ক্রসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার অ্যাবট। জাম্পা ও বার্টলেট নেন দুটি করে উইকেট। শুক্রবার একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য করুন