পাকিস্তানের মাটিতে টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে শান মাসুদের দলকে দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাদের এই জয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন কিছু রেকর্ড ও পরিসংখ্যান। দেখে নেওয়া যাক সেসব থেকে নির্বাচিত কিছু পরিসংখ্যান :
#১
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে নিজেদের ইতিহাসে দেশের বাইরে তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয় তুলে নিয়েছে। এর আগের দুটি সিরিজ জয় ছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২-০ এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে জয়। তবে এই সিরিজ জয়টিকে অনেকেই বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জয় হিসেবে অভিহিত করছেন।
#২
পাকিস্তানের ঘরের মাঠে দুঃস্বপ্ন যেন বাড়তেই থাকছে। টানা দশটি হোম টেস্টে জয়বঞ্চিত থাকল দলটি, যা ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে টানা ১১টি টেস্টে জয়হীন থাকার পর তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম জয়বিহীন ধারা। শেষবার এমনটা হয়েছিল ২০২২ সালে, যখন ইংল্যান্ড তাদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিল।
#৩
পাকিস্তানের ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার পরেও টেস্ট হারার এটি ছিল চতুর্থ ঘটনা। সর্বশেষ ২০০০ সালে করাচিতে ইংল্যান্ডের কাছে ১৭ রানের লিড নিয়েও পাকিস্তান ম্যাচ হেরেছিল। এবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তারা ১২ রানের লিড নিয়েও হার মানে।
#৪
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সব ১০টি উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা, যা টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটেছে। এছাড়া বাংলাদেশি পেসাররা মোট ১৪টি উইকেট নিয়েছেন এই ম্যাচে, যা তাদের টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা ছুঁয়ে দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশি পেসাররা ১৪ উইকেট নিয়েছিল।
#৫
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যান মাত্র ২১ রান করেন, যা টেস্ট ইতিহাসে জয়ী দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ১৮৮৭ সালে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে ১৭ রান করেছিল এবং পরে ম্যাচ জিতেছিল।
#৬
পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে শান মাসুদের নেতৃত্বে দলটি টানা পাঁচটি টেস্ট হেরে গেছে, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো অধিনায়কের জন্য সবচেয়ে বাজে শুরু। মাসুদের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন আরও সাতজন অধিনায়ক, যার মধ্যে চারজনই বাংলাদেশি - খালেদ মাসুদ (১২), খালেদ মাহমুদ (৯), মোহাম্মদ আশরাফুল (৮) এবং নাইমুর রহমান (৫)।
মন্তব্য করুন