বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে, যেখানে পাকিস্তানের পুরো দ্বিতীয় ইনিংসের সবকটি উইকেট তুলে নিয়ে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে টাইগার পেসাররা। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি পেসাররা টেস্টের এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট নিজেদের দখলে নিয়েছে। এ রেকর্ডে মূল ভূমিকা রেখেছেন হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা এবং তাসকিন আহমেদ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনে বল হাতে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন হাসান ও নাহিদ। আগের দিনই হাসান দুই উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলেছিলেন। সেই চাপকে আরো বাড়িয়ে দেন নাহিদ রানা, যিনি ধারাবাহিক গতিময় ও সুইং বোলিংয়ে পাকিস্তানের ব্যাটারদের একের পর এক সমস্যায় ফেলেন।
চতুর্থ দিনের সকালে বল হাতে জাদু দেখাতে শুরু করেন নাহিদ। একপ্রান্ত থেকে নাহিদ শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং গতিময় বোলিংয়ে সাফল্য পান, অন্যদিকে হাসান তার বিধ্বংসী ফর্ম অব্যাহত রাখেন।
পাকিস্তানকে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে দিতে পেসারদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল অসাধারণ। ইনিংসের শেষ উইকেটটি তুলে নেন হাসান মাহমুদ, যা তার প্রথম টেস্ট ফাইফার নিশ্চিত করে। হাসান মাত্র ১০.৪ ওভারে ৪৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে ইতিহাস গড়েন।
নাহিদ রানা শেষ করেন ৪ উইকেট নিয়ে, যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। তাসকিন আহমেদ শিকার করেন একটি উইকেট, তবে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের স্পিন-নির্ভর বোলিং আক্রমণের অতীতের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে পেসারদের এই অসাধারণ সাফল্য দেশের টেস্ট ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
বাংলাদেশ এর আগে সর্বোচ্চ ৯টি উইকেট নিতে পেরেছিল পেস বোলিংয়ের মাধ্যমে। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুইবার এবং শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার করে।
মন্তব্য করুন