রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময়ে কাঁধে আঘাত পান মুশফিকুর রহিম। এরপরও ব্যাটিং করতে নামেন তিনি। যদি ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠে দেখা যায়নি তাকে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবেন তো প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ডান কাঁধে চোট পান মুশফিক। ইনিংসের ৫৩ ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় এ চোট পান অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান ফিজিও।
প্রথম ইনিংসের হাসান মাহমুদের করা ৫৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে অফ ড্রাইভ করে মোহাম্মদ রিজওয়ান। মিড অফে দাঁড়ানো মুশফিক ড্রাইভ দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে রুখতে না পারায় বল চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে।
মাঠে শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন তিনি। ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম মাঠে প্রবেশ করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে অস্বস্তিবোধ করায় মুশফিককে নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান ফিজিও।
সেই চোট নিয়েই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মুশফিক। ৯ বলে মাত্র ৩ রান রান করে মীর হামজার শিকার হন তিনি। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।
তৃতীয় দিন বিকেলে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু দিনের বাকি সময়ে ফিল্ডিং করতে দেখা যায়নি মুশফিককে। তার পরিবর্তে ফিল্ডিং করেন শেখ মেহেদী হাসান।
এমনকি চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের ইনিংস চলাকালেও ফিল্ডিংয়ে নামেননি অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার। সচরাচর যা দেখা যায় না। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাট করতে নামবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসকের কাছে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘এখনও আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। তবে যতটুকু জানি তিনি খেলার জন্য ফিট আছেন।’
এ দিকে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউ হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬২ রান। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের লিড দাঁড়ায় ১৮৪ রান। জয়ের জন্য শান্তদের করতে হবে ১৮৫ রান।
এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে বাংলাদেশ করে ৪২ রান। ওপেনার জাকির হাসান ৩১ ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত আছেন।