পাকিস্তান-বাংলাদেশের মধ্যকার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনটিতে বাংলাদেশ নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে টেনে তোলেন লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের দুর্দান্ত ১৬৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশ নতুন করে লড়াইয়ে ফেরে। এরপর দিনের শেষভাগে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করার পর মাত্র ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। টপ অর্ডারের ধসে বিপদে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল। তবে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন।
মিরাজ ১২৪ বল খেলে ১২টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন, যা দলকে ফলোঅন এড়াতে সহায়তা করে। তবে লিটন দাস আরও দীর্ঘ ইনিংস খেলেন। তিনি ২২৮ বলে ১৩৮ রান করেন, ইনিংসটিতে ছিল ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। এই ইনিংসটি ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আঘা সালমানের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে যখন আউট হন, তখন বাংলাদেশ ২৬২ রানে অলআউট হয়, পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে মাত্র ১২ রান পিছিয়ে।
পাকিস্তানের হয়ে খুররাম শাহজাদ অসাধারণ বোলিং করেন, তিনি ৯০ রানে ৬ উইকেট নেন। মীর হামজা ও আঘা সালমান নেন দুটি করে উইকেট।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারায়। বাংলাদেশি পেসার হাসান মাহমুদই এই ধস নামান। আব্দুল্লাহ শফিককে মাত্র ৩ রানে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এবং নাইটওয়াচম্যান খুররাম শাহজাদকে বোল্ড করে তিনি দলকে দারুণ অবস্থানে নিয়ে আসেন। তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তান মাত্র ২১ রানে এগিয়ে, কিন্তু চাপে আছে তারা।
এখন বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারে, যদি চতুর্থ দিনে তারা দ্রুত পাকিস্তানের বাকি উইকেট তুলে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন