এ মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, আর কত দিন জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অনেকের মতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর বিদায় নিতে পারে লঙ্কান কোচ। আবার হাথুরুসিংহের পক্ষেও আছেন কেউ কেউ।
এদের একজন জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার মতে, আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত লঙ্কান এ কোচকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলে, পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন ফারুক আহমেদ। প্রথম দফায় হাথুরুসিংহের দায়িত্বকালে প্রধান নির্বাচকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই লঙ্কান কোচের।
দেশের ক্রিকেটের বড় একটা অংশ চাইছে না হাথুরুসিংহে দায়িত্বে থাকুক। এমন অবস্থায় গণমাধ্যমে বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বললেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের সময় যে কোচের পরিবর্তন হয়েছিল, ওই স্বল্প সময়ে পরিকল্পনা সাজানোটা কিন্তু কঠিন ছিল। একটা বিশ্বকাপের জন্য টিম গুছিয়ে আনতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। ওই জায়গায় এসে যদি হেড কোচ সরে যায় সেটা খুব কঠিন। ২৩-এর ওই সময়টায় পরিবর্তন করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তারপরও আমি জানি না। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত, যেহেতু বোর্ডের ডিরেক্টররা আছেন। তারা সভাপতির সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। বোর্ডের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে লঙ্কান কোচের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন. ‘সিরিজটা শেষ হোক, আমাদের ভালো সুযোগ আছে (সিরিজ জেতার)। বিদেশি সিরিজে এরকম সুযোগ হয় না। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে স্বেচ্ছাচারী হতে পারি না। আমার কাজের ধরন আগে যেরকম ছিল, এখনো তা-ই আছে। আমার সাত আর সাত দিন, ১৪ দিন পরে নতুন কোনো ফল আসতে পারে।’ এ ছাড়া মিরপুরের কিউরেটর গামিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খেলার সময় কিন্তু ঘরের মাটি, কন্ডিশন নিয়ে এগোতে হয়। কিছু কিছু জায়গায় পয়েন্টের ব্যাপার আছে, র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপার আছে। এ জায়গায় কিন্তু আপনাকে আপস করে নিতে হয়। পুরো একতরফা বললে হবে না। কিছু ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিন্তু এগোতে হয়।’
মিরপুরের ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে বিসিবির পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানান মিনহাজুল আবেদীন- তিনি বলেন, ‘সব সময় এ বিষয় নিয়ে চিন্তা ছিল। আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি। এটা হবে না কেন! সাবেক অধিনায়কদের তো অবশ্যই দায়িত্ব আছে, দেওয়ার অনেক কিছু আছে। এ জায়গাটা থেকে অবশ্যই গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন হওয়া উচিত।’
মন্তব্য করুন