রাওয়ালপিন্ডিতে টানা বৃষ্টিতে ভেসে যায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চ বিরতিতে ১ উইকেটে ৯৯ রান করে পাকিস্তান।
তবে লাঞ্চ বিরতির পর মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে দ্বিতীয় সেশন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ওভারের পর এই সেশনে আরও এক উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ফলে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ৮৪ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। এতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা টাইগারদের দখলে। এর আগে ১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে স্বপ্নের মতো শুরু করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পাকিস্তানের ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।
দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান মাসুদ। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত দলের বিপদ আর বাড়তে দেননি দুজন। ১ উইকেটে ৯৯ রান নিয়ে লাঞ্চে যান তারা।
এর আগে আইয়ুব ধীরগতিতে খেললেও, ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন মাসুদ। লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত আইয়ুব ৮৩ বলে ৪৩ আর মাসুদ ৬২ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে তার ১০৭ রানের জুটি।
মাসুদের মতো অর্ধশতক করে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুবও। তাকেও আউট করেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে স্লগ করতে গিয়ে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ব্যক্তিগত ১ রানে তাসকিনের বলে স্লিপে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ।
তবে সেই তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন শাকিল। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমের উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এর দুই বল পর সালমান আগার ক্যাচ ফেলে দেন জাকির হাসান। তা না হলে আরও শক্ত অবস্থানে থাকত বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন