২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। এ জন্য পূর্বাচলে নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বদলে যায় অনেক কিছু।
নাজমুল হাসান পাপনের পরিবর্তে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জায়গাটি পরিদর্শন করতে যান তিনি।
৩১ আগস্ট (শনিবার) পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের পরিদর্শনকালে বিসিবির সভাপতি সঙ্গে পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন- আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী এনাম আহমেদ, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
সাড়ে ৩৭ একর জমি ঘুরে দেখে দুটি মাঠ তৈরির কথা জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ইচ্ছা ছিল মাঠগুলোর উন্নতি। নতুন মাঠও যদি করতে পারি, সেটা নিয়েও চিন্তা করছিলাম। যেহেতু এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা, এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা ছিল। এখন এটাকে আমরা যত দ্রুত মাঠের কাঠামোতে রূপ দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। আমাদের যে মাঠগুলো উন্নতি করার কথা, সেগুলোর সঙ্গে এটা যোগ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে যাব। এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এত বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট—অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।’
দ্রুত মাঠের নির্মাণ কাজ শুরুর কথা জানান তিনি, ‘আমি আগেই উল্লেখ করেছি, কনসালটেন্সিতে আমাদের টাকা ইনভেস্ট হয়েছে। ওটাকে ধরেই বড় কোনো পরিবর্তন না করে…আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না। মাঠ, ড্রেসিংরুম…আমি ওদের প্ল্যানটা পুরোপুরি দেখিনি। এটা নিয়ে আমার কথা বলাটাও ঠিক হবে না। ওই প্ল্যানটা দেখে, ড্রইং দেখে ওদের সাজেশন অনুযায়ী আমরা প্রথমে মাঠ করার চেষ্টা করব।’
মাঠের নকশা প্রসঙ্গে বলেন, ‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নেই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।’
স্টেডিয়ামের নাম প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন