বহুল আলোচিত শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবির নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্ব বোর্ড। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোর্ডের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প কিছু করতে চান তারা। আগামী শনিবার (৩১ আগস্ট) সভাপতির সঙ্গে পূর্বাচল স্টেডিয়ামের জায়গাটি পরিদর্শন করবেন বোর্ডের পরিচালকরা।
প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বাজেটে স্টেডিয়ামটির কাজ হওয়ার কথা রয়েছে। কাজের অগ্রগতির জন্য ৭৬ কোটি টাকার চুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান পপুলাসকে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। ইতিমধ্যে প্রজেক্টের ডিজাইনের পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকার মতো। স্টেডিয়ামের নির্মাণের জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজার থেকে শুরু করে বেশ কাজ এগিয়েও নিয়েছে বিসিবি। তবে এবার পুরো প্রজেক্টের কাজই স্থগিত হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের দরপত্রের প্রসেসের কালকেই (শুক্রবার) শেষ তারিখ ছিল। আমরা বাতিল করেছি।’
কাজপত্রে স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতি হলেও কেন তা বাতিল করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, আমরা এ মুহূর্তে এত বড় প্রজেক্ট এটা কিন্তু মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে...! সো ওখান থেকে আমরা খুব বেশি হ্যাঁ ও না, না ও না। সময়ও নেই, আগামীকাল দরপত্রের শেষ তারিখ ছিল। সেজন্য আমাদের করতে হয়েছে। যদি আমাদের পরিস্থিতি উন্নতি হয় মনে করি, পুনর্বিবেচনা করে কিছু করা যায় কি না।’
সেক্ষেত্রে চলমান প্রক্রিয়াতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেটা কীভাবে পুষিয়ে নেবে বোর্ড? এমন প্রশ্নে নতুন সভাপতি বলেছেন, ‘এ মাঠটা আমরা দেখতে যাচ্ছি সবাই মিলে, চেষ্টা করতেছি টাকাটা... যতটুক টাকা খরচ হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি (ক্ষতি কমিয়ে আনতে)। পুরোটা তো আমরা পরিপূর্ণ হবে না। তারপরও ওখান থেকে যদি কিছুটা রিকভারি করতে পারি।’
প্রাথমিকভাবে এ স্টেডিয়ামে উইকেট স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন লিগের খেলা চালিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে বোর্ড। একই সঙ্গে গেল কয়েক বছর বোর্ডের যে আর্থিক অনিয়মিত হয়েছে; সেটার সঠিক রিপোর্ট পেতে নতুন করে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন পরিচালকরা।
মন্তব্য করুন