বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যস্ত সময় পার করছেন ফারুক আহমেদ। মনোযোগী হতে হয়েছে বিসিবি পুর্নগঠনে। পদত্যাগ করা সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনসহ খোঁজ নেই অনেক বোর্ড পরিচালকের।
নেই বিসিবির স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কোনো কমিটি। ফলে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছেন বিসিবি কার্যক্রম। সেই স্থবিরতা কাটাতে দ্রুত স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনে হাত দিয়েছেন নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। এ জন্য বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জরুরি বোর্ড সভা ডেকেছেন তিনি।
এরই মধ্যে বিসিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বিসিবির সব স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও উপপ্রধানের নাম। নেই পদত্যাগী সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন ও নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের নাম।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটি পুনরায় গঠনের পর ঠিক করা হবে ওয়েবসাইটে সব তথ্য। এ ছাড়া আরও জানা গেছে বিসিবির কার্যক্রমে গতি আনতে বৃস্পতিবারের বোর্ড সভায় পূর্ণাঙ্গ না হলে আংশিকভাবে গঠন করা হবে স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটিগুলো।
এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে ফিনান্স, ক্রিকেট অপারেশন্স, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, গ্রাউন্স ও ফ্যাসিলিটিজ, গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কমিটি। ধারণা করা হচ্ছে বদলে যেতে পারে অনেকের দায়িত্ব।
বিসিবির একটি সূত্র জানায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ফাহিম সিনহা। মারা যাওয়া আগে তার বাবা আফজালুর রহমান সিনহা পালন করেছেন এ দায়িত্ব।
জালাল ইউনুস পদত্যাগ করায় ফাঁকা রয়েছে ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধানের পদ। সেই দায়িত্বে আসতে পারেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এর আগেও এই বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিনান্স কমিটির দায়িত্ব পেতে পারেন মাহবুবুল আনাম। মিডিয়া কমিটির প্রধানের দায়িত্বে আসতে পারেন ইফতেখার মিঠু। জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক আকরাম খান ও খালেদ মাহমুদ সুজন, কোনো দায়িত্ব পাবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে সাজ্জাদুল আলম ববি না থাকায় ফাাঁক টুর্নামেন্টে কমিটির চেয়ারম্যানের পর। সেটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। অনেক পরিচালককে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পূরণ করা হয়ে স্থায়ী কমিটির শূন্যতা। বর্তমানে সক্রিয় থাকা সব পরিচালককেই দু-তিন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
বিসিবির সক্রিয় বোর্ড পরিচালকদের একজন কাজী ইনাম আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘বোর্ড সভাপতি নিয়মিতই আমাদের সঙ্গে বসছেন। যেহেতু এখন অনেক কমিটিতেই চেয়ারম্যান নেই, উনি আমাদের সবার মতামত নিচ্ছেন। সবাইকে সুযোগ দিচ্ছেন কথা বলার, যাতে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারি।’