সদ্য সমাপ্ত রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের স্মরণীয় এই জয়ে অবদান রেখেছেন প্রায় সবাই। যার মধ্যে তরুণ পেসার নাহিদ রানার ভূমিকাও রয়েছে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিই যে ফিরিয়েছেন পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজমকে। টেস্ট শেষ হওয়ার তিন দিন পর এবার নাহিদ রানা জানালেন কোন পরিকল্পনায় টাইগাররা বাবরকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন।
মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা নাহিদ কীভাবে বাবরকে আউট করলেন, সেই পরিকল্পনা জানিয়েছেন বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে। নাহিদ জানান, বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান বাবরের বিরুদ্ধে বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন, যা নাহিদ মাঠে বাস্তবায়ন করেন। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক আমাকে সামনে সামনে বাউন্সার করার পরিকল্পনা দিয়েছিল। বাবর তখন চাপে ছিলেন, কারণ আগের দুই বোলার (শরীফুল এবং হাসান মাহমুদ) ভালো বোলিং করেছিলেন। ব্যাকফুটে থেকে সামনের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি।’
রানার ঘণ্টায় ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বাবর ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন।
প্রথম ইনিংসে ১৯ ওভারে ১০৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা নাহিদ দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো বোলিং করেন। ৬ ওভারে ৩০ রান দিলেও তাঁর ধারাবাহিক বাউন্সারে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেন। নাহিদ বলেন, ‘উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। আমরা বোলাররা লাইন টু লাইন বোলিং করার চেষ্টা করেছি। অধিনায়ক যে পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। আমার নিজের ওপর এবং অধিনায়কের ওপর বিশ্বাস ছিল।’
২১ বছর বয়সী এই পেসার তার সাফল্যের জন্য সতীর্থদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন, ‘সাকিব ভাই আর মুশফিক ভাইদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে খেলতে পারা অনেক বড় কিছু। তাদের সঙ্গে মাঠে খেলতে পারা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ভাই আমাকে লাইন–লেংথ ঠিক রাখতে সাহায্য করেছেন।’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশি পেসাররা সবাই ভালো বোলিং করেছেন। আরেক পেসার হাসান মাহমুদ ৩টি উইকেট নেন এবং রানার প্রশংসা করেন, ‘নাহিদের বোলিং অ্যাফোর্ট দেখে মনে হয়েছে ও দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলে নিচ্ছে। আমরা সবাই ওকে যতটা সম্ভব উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশের জয়ে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুই স্পিনার মিলে ৭টি উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন।