পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ৯ রানের জন্য দ্বিশতক থেকে বঞ্চিত হন মুশফিকুর রহিম।
এ ছাড়া চতুর্থ দিন অর্ধশতক করেছেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান। ফলে এখনো ৯৪ রানে লিড বাংলাদেশের। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে ফেরান শরীফুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ১ রানে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন সাইম।
এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও অধিনায়ক শান মাসুদ (৯*)। ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলার শুরু করবে পাকিস্তান। বড় কোনো ধরনের অঘটন না ঘটলে, ড্রতে শেষ হতে পারে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট।
এর আগে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মুশফিকের ১৯১ রানের ইনিংস এবং চার ব্যাটার সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন ও মিরাজের অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমর বেলিমের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে শতক করেন মুশফিক। ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে শতকের স্বাদ পান বাংলাদেশি কোনো ব্যাটার।
লম্বা ইনিংস খেলার পথে চতুর্থ দিনের শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। পরে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৯৬ রান।
তবে মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার। এর আগে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি করা হয়নি আড়াই বছর পর জাতীয় দলে ফেরা ওপেনার সাদমান ইসলামের।
এ ছাড়া অর্ধশতক করেন আরও তিন ব্যাটার। মিরাজ ৭৭, লিটন ৫৬ ও মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। শেষ দিকে ১৪ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন শরীফুল।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ। আর ২টি করে উইকেট শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলীর।
মন্তব্য করুন