বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে, বিশেষ করে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পুরো দেশের মানুষ সাহায্যে এগিয়ে এসেছে।
দেশের এই দুর্যোগের সময়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সব ভেদাভেদ ভুলে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেশ সেরা এই ওপেনার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বন্যার আঘাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের সবার কর্তব্য একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, সহায়তার হাত বাড়ানো। ব্যক্তিগত মতপার্থক্য এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
তামিম নিজেও দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান, এবং বিভিন্ন বিশ্বস্ত সংস্থার মাধ্যমে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এবং আরও করব। যারা মাঠপর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমাদের দেশ অনেক দুর্যোগের মধ্য দিয়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, এবারও একসঙ্গে কাজ করব এবং মানুষকে নিরাপদে রাখব।’
এদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্যাদুর্গত এলাকায় সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং অনেক স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণ ও আর্থিক অনুদান দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে হটলাইন নম্বরও চালু হয়েছে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নৌকাসহ উদ্ধারকর্মীরা দুর্গত এলাকায় পৌঁছাচ্ছেন।
তামিম বিশেষভাবে সতর্ক করেন যে বন্যার তাৎক্ষণিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ার পরও দুর্যোগের প্রভাব থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত খাদ্য, ওষুধ, বাসস্থান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে, যাতে বন্যাদুর্গত মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
তামিমের এই বার্তা সবার মাঝে সাড়া ফেলেছে, যেখানে একতা ও সহানুভূতির মাধ্যমে দেশের সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন