দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফর করছে বাংলাদেশ দল। রাওয়ালপিন্ডিতে বুধবার (২১ আগস্ট) শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশের জন্য সবুজ উইকেট তৈরি করেছে পাকিস্তান, যা দেখে দারুণ খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
পেস সহায়ক উইকেটের সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ দলের কোচ মুখিয়ে আছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ দলের পেসাররা ভালো করছেন। বাংলাদেশ দলে আছেন শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার মতো পেস বোলার। পরে যোগ দেবেন তাসকিন আহমেদ। এমন ফাস্ট বোলারদের জন্যই রাওয়ালপিন্ডির ঘাসে ঢাকা পেস সহায়ক উইকেট দেখে খুশি হাথুরু। তিনি সংবাদ সন্মেলনে বলেছেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। পাকিস্তানিরা হয়তো আমাদের ফাস্ট বোলারদের খুব বেশি দেখেনি। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের ফাস্ট বোলাররা সহায়ক কন্ডিশনে খুব ভালো করেছে। এটি রাতারাতি হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের এই ফাস্ট বোলিং গ্রুপটা একসঙ্গে আছে।’
পাকিস্তান দলের পেসারদের সঙ্গে শরিফুলদের পার্থক্য এটাই—অভিজ্ঞতা। হাথুরু বলেন, ‘পার্থক্যটা হচ্ছে অভিজ্ঞতায়। তারা একসঙ্গে হয়তো ২০টি টেস্ট খেলেনি, তাই পাকিস্তানিদের তুলনায় তারা তরুণ ফাস্ট বোলার। তো আমি খুবই রোমাঞ্চিত এটি দেখার জন্য, তারা কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।’
তবে রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ঘাসে ঢাকা হলেও ব্যাটাররাও সাহায্য পাবে বলে মনে করেন হাথুরু, ‘রাওয়ালপিন্ডির উইকেট দেখে মনে হচ্ছে, তুলনামূলক পেস সহায়ক এবং ব্যাটিংয়ের জন্যও ভালো। তাদের স্কোয়াডেও দেখা যাচ্ছে, বেশি স্পিনার নেয়নি। বিষয়টা হলো, সম্প্রতি আমরাও ভালো ফাস্ট বোলার তৈরি করেছি। কন্ডিশন সাহায্য করলে আমাদের যথেষ্ট ভালো ফাস্ট বোলার আছে।’
সাকিব আর মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ বলেন, ‘যেমনই হোক, আমাদের দলে দুজন স্পিন অলরাউন্ডারও আছে। তারা বিশ্বমানের, সাকিব আল হাসান ও (মেহেদী হাসান) মিরাজ। তো সামনে যা-ই ছুড়ে দেওয়া হোক, সব দিক সামলানোর রসদ আছে আমাদের। আমরা প্রস্তুত।’
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে হাথুরু আরও বলেন, ‘সাকিব নেটে ভালো ব্যাটিং করছে। তাকে দেখে আরও ফিট মনে হচ্ছে। আমি জানি না, অনেকেই হয়তো জানে না, সে চক্ষু পরীক্ষাও করিয়েছে। সেটি তার সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করছে।’
মন্তব্য করুন