ক্লাব ট্যান্টের আট কক্ষের সবকটি আক্রান্ত হয়েছে—চলেছে ভাঙচুর, লুটপাট। অর্থকড়ি ও আসবাব লুট হয়েছে। লুট হয়েছে ক্লাবের ৫২ বছরের নানা স্মৃতিচিহ্ন—ট্রফি। সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানালেন আবাহনীর সাবেক-বর্তমান ক্রীড়াবিদরা।
বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে আবাহনীর হয়ে খেলা সাবেক-বর্তমান ক্রীড়াবিদরা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়েছিলেন, ছিলেন ক্লাবটির সাবেক-বর্তমান কয়েকজন পরিচালকও। যার অন্যতম হকির জীবন্ত কিংবদন্তি আব্দুস সাদেক।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিগত ৫০ বছরে আবাহনী দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্লাব। এই সময়ে আমরা যে ট্রফি অর্জন করেছি তার সংখ্যা কত আমি নিজেও জানি না।’
বর্ষীয়ান এ সংগঠক আরও বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৭৪ সালে বোধ হয় আমরা ক্রিকেট, ফুটবল ও হকি— তিন খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এরপর তো আমরা শত শত ট্রফি অর্জন করেছি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কদিন আগে ক্লাব থেকে শত শত ট্রফি কে বা কারা নিয়ে গেছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই, আপনারা ট্রফিগুলো ক্লাব প্রাঙ্গণে ফিরিয়ে দিয়ে যান।’
সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুল গাফফার নিশ্চিত করেছেন, ট্রফি ও আবাহনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্মারকগুলো ফেরত দিতে এসে কোনো ধরনের জটিলতায় পড়বেন না।
তার কথায়, ‘কিছু ট্রফি এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি। আমাদের অনেকের বয়সই এখন ষাটের বেশি। আমরা চলে যাব; কিন্তু নতুন প্রজন্মের কেউই আবাহনীর ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে না। তরুণদের কথা চিন্তা করে হলেও ট্রফিগুলো ফেরত দিয়ে যাবেন।’
আব্দুল গাফফার আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে আমাদের অর্জনগুলো দেখাতে না পারলে আপনারাই দুঃখ পাবেন, কষ্ট পাবেন। আমি আশা করব, আপনারা ট্রফিগুলো দিয়ে যাবেন, এখানে আপনাদের সঙ্গে খারাপ কিছু হবে না।’
সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘ক্লাব ভাঙচুর ও মহামূল্যবান ট্রফিগুলো নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে মর্মাহত হয়েছি। ২০ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে খেলোয়াড় হিসেবে আমি আবাহনীতে আসি। বহু স্মৃতি জড়িয়ে এখানে। খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছি, সংগঠক হিসেবে ছিলাম। আমি খুবই মর্মাহত। যারা এগুলো নিয়ে গেছেন, তারা যদি কোনো মাধ্যমে কিংবা নিজেরা এসে ট্রফিগুলো ফেরত দিয়ে যান, খুশি হবো।’
ক্লাব প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছিলেন, দেওয়ান শরিফুল আরেফিন টুটুল, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, খুরশিদ আলম বাবুল, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন, সত্যজিৎ দাস রুপু, বিপ্লব ভট্টাচার্য, খালেদ মাহমুদ সুজন, দিপু রায় চৌধুরী, ইমরান হামিদ পার্থ, জাহিদ হোসেন শোভনরা।
মন্তব্য করুন