গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নেয় শেখ হাসিনার সরকার। ক্ষমতার পট পরিবর্তনে পাল্টে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিত্রও। আত্মগোপনে রয়েছেন বেশিরভাগ বোর্ড পরিচালক। এতে অনেকে অভিযোগ তুলছেন বিসিবির বিরুদ্ধে।
তেমনই এক অভিযোগ, ২০২৩ সালে ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাওনা টাকা এখনো ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেয়নি বিসিবি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এর ব্যাখ্যা দেয় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পয়েন্ট টেবিলের ৮-এ থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ করে বাংলাদেশ। এতে প্রাইজমানি হিসেবে ১ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা বিসিবির। একই সঙ্গে দুটি ম্যাচ জেতায় ৪০ হাজার করে আরও ৮০ হাজার ডলার হয়। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার পাওয়া কথা বিসিবির। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা।
একই বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা টাকা পেলেও বাংলাদেশ এখনো সে-ই প্রাইজমানি পায়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিসিবি, ‘একটি কথা পরিষ্কার করতে চায় বিসিবি। ইচ্ছাকৃত বা অবহেলার কারণে পুরস্কারের টাকা দিতে দেরি হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। মূলত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক বড় ইভেন্ট শেষ হওয়ার পর আইসিসির কাছ থেকে সে টাকা পেতে কয়েক মাস লেগে যায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হয়। দ্রুত আইসিসির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। কর সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতার কারণে টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াটি দেরি হয়েছে। এ ধরনের প্রশাসনিক বাধা শুধু বিসিবির জন্য নয়, অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকেও প্রভাবিত করেছে।’
ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে ‘আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া একেক দেশে একেক রকম। যাদের সঙ্গে প্রক্রিয়াটা সহজ সেসব সদস্য দেশ আগে টাকা পেয়েছে। যাদের একটু জটিল, তাদের এ প্রক্রিয়া শেষ করে টাকা পেতে হচ্ছে।’
দ্রুত প্রাইজমানির টাকা পাওয়া যাবে উল্লেখ করে বিসিবি পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, এ আনুষ্ঠানিকতা সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে পুরস্কারের টাকা বিসিবির অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিসিবি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের অসত্য মন্তব্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বিসিবি ও বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিসিবির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।’
মন্তব্য করুন