জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। একই পথে হেঁটেছেন সাকিব আল হাসানও। দুজনই ছিলেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য।
তবে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে একটা সংস্কারের ডাক এসেছে। সেখানে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে; এমনকি অনেক ক্রিকেটারও সে প্রশ্ন তুলেছেন। সবার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে দেখতে চান না জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দলে সুযোগ পেতে পারফরম্যান্স করতে হয় জানিয়ে গাজী আশরাফ বলেন, ‘এখানে সিলেকশনের ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন তিনি (সাকিব) একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার সিলেকশনটা হয়েছে মেধার ওপরে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
কিন্তু রাজনীতি ও ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না এমন সংস্কারের ডাককে কীভাবে দেখছেন প্রধান নির্বাচক! এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয়ই এমন কিছু প্রসেস থাকবে যে, কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না।’
‘কালকে (রোববার) হয়তো সোহান বলেছে। একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কি না...তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও কি উচিত একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তারা তো দেশের জন্যই কাজ করে। এটা একদিক থেকে চিন্তা করাও যাবে না। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না’,যোগ করেন তিনি।
তবে বিষয়টির সহজ ব্যাখ্যা দিয়ে গাজী আশরাফ বলেন, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন! একটা স্পেসিফিক দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে ভালো হয়। তাহলে কোনো খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন তার অগ্রাধিকার কোথায়। এ রাস্তাটা (খেলা ও রাজনীতি) মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত।’
মন্তব্য করুন