ক্ষমতার পালাবদলে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তনের বাতাস বইছে ক্রিকেটাঙ্গনেও। প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। তবে স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় এখনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে চাইছেন না তিনি।
নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে ক্রিকেট পাড়ায়। এর মাঝেই নিজের গণমাধ্যমে নিজের ইচ্ছের কথা জানান জাতীয় দলের ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। তার মতে ক্রিকেটকে ভালোবাসে এমন ব্যক্তিদের বোর্ডে প্রয়োজন।
রোববার (১১ আগস্ট) মিরপুরে গণমাধ্যমে সোহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যা করেছে, সেটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার জায়গা। অবশ্যই বিসিবিতে কিছু ভালো মানুষ আছে, খেলার জগতেও কিছু ভালো মানুষ আছে। তবে কিছু মানুষ নিয়ে আমার প্রশ্নও আছে। এমন মানুষ আসা উচিত না যারা খেলাটাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। তারা ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে আসে। এমন মানুষের ক্রিকেটে কোনো প্রয়োজন নেই।’
এ সময় তিনি ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতো কাউকে ক্রিকেট বোর্ডে দরকার বলে উল্লেখ করেন, ‘ফাহিম স্যারের মতো (নাজমুল আবেদীন ফাহিম) মানুষ যারা আছে, তারা ক্রিকেট ভালোবাসে। এ রকম মানুষই আসা উচিত যাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই এবং কোনো বিতর্ক নেই। আশা করি অবশ্যই ভালো মানুষরাই আসবে। এখনো বোর্ডে কিছু ভালো মানুষ আছেন কিন্তু কাজ করার সুযোগ পায়নি। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট যে জায়গায় থাকার কথা ছিল, সে জায়গায় এখন নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এখান থেকে বাড়ি-গাড়ি করার কিছু নেই। এ জিনিসটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়। আমি জানি বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এটা অনেক কঠিন। তবে ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে আমরা কিভাবে এক থাকতে পারি। সব থেকে বড় একটা দেশ বলেন, একটা খেলা বলেন, একটা বিসিবি বলেন এটা তখন ভালো যাবে যখন ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ নিজের চিন্তা না করে ক্রিকেট ও দেশের ভালোর চিন্তা করবে।’
দেশের দুই জনপ্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেন। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে না খেললেও এখনো অবসরের ঘোষণা দেননি মাশরাফী। অন্য দিকে এখনও জাতীয় দলে খেলছেন সাকিব। দুজনই ছিলেন সদ্য বিলুপ্ত হওয়া সংসদের সদস্য।
এ নিয়ে সোহান বলেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারও যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’
বিসিবিতে রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের সংখ্যা বেশি। এমন লোকদের বিসিবিতে আসতে নিষেধ করেন তিনি, ‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিগতদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’
মন্তব্য করুন