ছিলেন দেশের ক্রিকেটের অভিবাবক। গত নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়ে নাজমুল হোসেন পাপন বনে যান পুরো ক্রীড়াঙ্গানের অভিবাবক। তবে সেসব এখন অতীত।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। এতে বিলুপ্ত হয় মন্ত্রীসভাও। ফলে মন্ত্রীত্ব হারান তিনি। তবে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালনে বাধা নেই তার।
তবে শেষ কয়েকদিন বিসিবির অন্যান্য বেশকিছু পরিচালকদের মতো তারও কোনো খোঁজ নেই। এক সূত্রের মাধ্যমে ক্রিকেট বিষয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে আওয়ামী লীগের অন্য অনেক নেতার মতোই দেশত্যাগ করেছেন তিনি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে নাজমুল হাসান পাপন এখনো দেশেই অবস্থান করছেন। তবে প্রশ্ন হলো তিনি দেশে কিংবা বাইরে যেখানেই থাকুন বিসিবির এখন কী হবে? কে থাকবেন সভাপতির দায়িত্বে বা অন্য পরিচালকদেরই বা কী খবর?
সংসদ সদস্য বা ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ না থাকলেও ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এখন পর্যন্ত নাজমুল হোসেন পাপনই থাকছেন। বোর্ডের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিবির সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারবেন তিনি। এমনকি চাইলেও তাকে সরানোর কোনো সুযোগ নেই।
যদি বোর্ডর উপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ পরে তাহলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট। গত বছর লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এমন নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিল আইসিসি থেকে।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করেছিল ক্রিকেটরে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল।’
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা এড়াতে অপেক্ষা করতে হবে বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে বর্তমান বিসিবির কার্য নির্বাহী কমিটির মেয়াদ।
মন্তব্য করুন