সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ যখন ভারত, তখনই মানসিকভাবে এক পা পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ! দলের ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডি- সব বিভাগেই ফুটে উঠেছে সে চিত্র। ভারতের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর ব্যাটিং ব্যর্থতাকে নিজেদের মানসিকতাকে উল্লেখ করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মানসিকভাবেই হেরে গেছেন টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের আরেকটি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হারমানপ্রিত কৌরের দল। এশিয়া কাপে নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি ভারতের তৃতীয় দশ উইকেটে জয়। এশিয়ান ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিমত্তা আরও একবার দেখালেন তারা। সেমিতে হেরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় জ্যোতিরা।
শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় শুক্রবার (২৬ জুলাই) আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ৮০ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৫৪ বল বাকি রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ৩৯ বলে ৫৫ রান করে রেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভারতের জার্সিতে এখন সর্বোচ্চ রানস্কোরার তিনি।
৩ হাজার ৪১৫ রান করা অধিনায়ক হারমানপ্রিতকে পেছনে ফেলে মান্ধানার রান এখন ৩ হাজার ৪৩৩। বোলিংয়ে শুরুতেই বাংলাদেশের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়ে ম্যাচসেরা হন রেনুকা সিং। ম্যাচের পর বোলারদের প্রশংসায় ভাসান অধিনায়ক হারমানপ্রিতও।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশের পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট তুলে নেয় ভারত। দলীয় ২১ রানের মাথায় তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। আগের দুই ম্যাচে টানা ফিফটি করলেও এদিন তিনি থেমেছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘টপ অর্ডার রান না পেলে দলের জন্য ভালো স্কোর দাঁড় করানো খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি, এটা মানসিক ব্যাপার। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার বিপক্ষে যেভাবে খেলেছিলাম আমরা, এটা (ভারত) পুরোপুরি ভিন্ন ছিল।’
অর্থাৎ প্রতিপক্ষকেই বড় করে নিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে এখান থেকে কাজ করে উতরানোর সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ, তাদের (টপ অর্ডার) শট খেলার সামর্থ্য আছে। পুরো বিষয়টা মানসিক; যখনই ভারতের বিপক্ষে খেলে, তারা ভিন্নভাবে খেলে।’
দুই মাস পরই দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের খুঁটিনাটি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতি। আপাতত নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নতিতেই চোখ তার।
মন্তব্য করুন