নারী এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে কক্ষপথে ফেরে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। ফাইনালে ওঠার লড়াই জ্যোতিদের প্রতিপক্ষ কারা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের ওপর। তবে আপাতদৃষ্টিতে বলা যায়, সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে পারে এশিয়া কাপের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন ভারত।
ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে টস জিতে আগে করতে নেমে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি জ্যোতিদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। জবাবে ৮ উইকেটে ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়া নারীদের ইনিংস।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ২৫৫ রান। ২০১৯ সালে মালদ্বীপের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতি (১১৩) ও ফারজানা হকের (১১০) ব্যাটে এ রান করেছিল বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুর্শিদা। এবার মালেয়শিয়ার বিপক্ষে তা ছাড়িয়ে যান। ৫৯ বলে ৮০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। ১০ চারের পাশাপাশি হাঁকান একটি ছক্কা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ষষ্ঠ অর্ধশতক।
মুর্শিদা ছাড়াও অর্ধশতক করেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন জ্যোতি। ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ২ ছক্কা। এছাড়া ৪ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে ২০ বলে ৩৩ রান করেন দিলারা আক্তারা। মালয়েশিয়ার পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন এলসা হান্টার ও মাহিরা ইজ্জাতি।
জবাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৭৮ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন এলসা হান্টার। এ ছাড়া মাহিরা ইজ্জাতি করেন ১৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে নাহিদা আক্তার নেন ২ উইকেটে।
এ ছাড়া জাহানারা আলম, সাবিকুন নাহান জেসমিন, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, রিতু মনি নেন একটি করে উইকেট। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একমাত্র রুমানা আহমেদ কোনো উইকেট পাননি।
মন্তব্য করুন