প্রায় ২১ বছর আগে ২০০৩ সালের ২২ মে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডসে অভিষেক হয়েছিল জিমি অ্যান্ডারসনের। প্রথম শিকার ছিলেন মার্ক ভার্মুলেন। ২১ বছর পর বুধবার (১০ জুলাই) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবার সেই লর্ডসে খেলতে নামছেন অ্যান্ডারসন। ১৮৭ টেস্টে তার নামের পাশে এখন ঠিক ৭০০ উইকেট। এটিই তার শেষ টেস্ট । ইংলিশ টিম ম্যানজমেন্ট তাকে টেস্ট ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই দারুণ ফর্মে থাকার পরও ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবসরে যাবেন বলে জানিয়েছেন অ্যান্ডারসন।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার অ্যান্ডারসনের টেস্ট অভিষেক হওয়ার আগে এন্ড্রু ক্যাডিক ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর আর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারেননি। তরুণ অ্যান্ডারসনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। লর্ডসে কি একই ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছেন জিমি? তবে যা-ই ঘটুক, ইতিহাস তাকে মনে রাখবে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে। লর্ডসে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমার তো মনে হয় এখনো যথেষ্ট ভালো বল করি। আগের মতোই বল করতে পারি। এটাও ঠিক, একটা সময় থামতেই হয়। এখন না হলেও এক বা দুই বছরের মধ্যে অবসর নিতেই হতো। আসলে আমাকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সিদ্ধান্তটা আমাকে মেনে নিতে হয়েছে। দুই মাস ধরে বিষয়টার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছে, সেটাও বুঝেছি। দল এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা চাচ্ছে, সেটাই হওয়া উচিত।’
জোর করে তাকে অবসরে পাঠানো হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘এভাবে বলা কঠিন। তবে আমাকে একটা রাস্তা বেছে নিতে বলা হয়েছে। ভালো পারফর্ম করে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চাই। এটাই এখন আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি বলতে অবসর নেওয়ার ভাবনা আমার ছিল না। গত ভারত সফরেও যথেষ্ট ফিট ছিলাম। নিজের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট ছিলাম। আমার মতো সিনিয়র বোলার প্রতিটি টেস্ট খেলবে না। এটাই প্রত্যাশিত। বিশ্রামটাও প্রয়োজন।’
ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে গত সপ্তাহেই ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন