সাধারণত ক্রিকেটে প্রায় সবসময়ই পুরুষ আম্পায়ারদেরই ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক ক্রিকেটে পুরুষদের পাশাপাশি নারী আম্পায়ারদেরও দেখা যাচ্ছে। পরিবর্তনের সেই হাওয়া লাগতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও। তাইতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নারী আম্পায়ারকে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরেও প্রথমবারের মতো নারী আম্পায়ারদের দেখা যেতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রিমিয়াম ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট বিপিএলে নারী আম্পায়ারদের অন্তর্ভুক্তি। সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারদের অনফিল্ড দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে, যা তাদের দক্ষতা এবং সামর্থ্যের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্ভবত বিপিএলেও নতুন এ সিদ্ধান্ত আসবে।
আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। অভিজ্ঞ করে আনতে হলে প্রথমে আমরা স্কুল ক্রিকেটে তাদের আম্পায়ারিং করতে দেই, প্রিমিয়ার লিগেও অনফিল্ড আম্পায়িরিং কিন্তু প্রথমবার করেছে। তার আগে আমরা থার্ড আম্পায়ারের জায়গায় দিয়েছি। অভিজ্ঞতা তো শুধু সিদ্ধান্ত না, অভিজ্ঞতা হচ্ছে আপনি কীভাবে পুরো মাঠকে ম্যানেজ করছেন। এটা শিক্ষণীয় বিষয়। এরা এখন আইসিসি প্যানেল ভুক্ত হয়ে গেছে কিন্তু। আইসিসি কেন করেছে? কারণ আমরা যে বায়োডাটা পাঠিয়েছে সেটা দেখেই করেছে।’
মিঠু এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘তারা ভেবেছে তারা যথেষ্ট যোগ্য। তবে তাদের আমরা পরবর্তী বিপিএলে অনফিল্ডে না দেখলেও তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে দেখতে পারেন। আমি জানি না পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এর মাঝে বিশ্বকাপ আছে...। কিন্তু অবশ্যই থার্ড আম্পায়ার... ওদের ট্রেনিং তো চালু রাখতে হবে। আমি খুব আশাবাদী মেয়েরাও খুব ভালো করছে।
এ ছাড়াও নতুন করে আরও কয়েক আম্পায়ারকে বেতনভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। ‘আমাদের প্রায় ৩০ জন বেতনভুক্ত আম্পায়ার আছে। বোর্ড সভায় আরও পাঁচজন আম্পায়ারকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। সভাপতি তো বলেছে, আপনাদের আইসিসি আমাদের চারজন নারীকে প্যানেল ভুক্ত করেছে, এটা নারীদের।’
এ ছাড়া একজন পুরুষ আম্পায়ার নিয়োগের কথাও জানানো হয়েছে। মিঠু বলেন, ‘সুমন বাংলাদেশের সাবেক বাঁ-হাতি পেস বোলার। সে এসেছে কারণ সৈকত এলিট প্যানেলে চলে গেছে, তাই ওইখানে গ্যাপ হয়। ওইখানে নিয়েছে আমাদের একজনকে। আইসিসির প্যানেল ভুক্ত আম্পায়ার তো আমরা বাইরে রাখতে পারি না। সর্বশেষ সভায় চারজন মেয়ে এবং একজন ছেলের চাকরি অনুমোদন হয়েছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই নতুন পদক্ষেপ নারীদের সুযোগের পরিধি বৃদ্ধি করতে এবং তাদের প্রতিভাকে উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন