১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভিভ রিচার্ডসের ক্যাচ ধরেছিলেন কপিল দেব। সেই বিশ্বকাপে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল সর্বজয়ী দল। তুলনায় ভারত এখনকার আফগানিস্তানের মতো।
ফাইনালে ডার্কহর্স হিসেবে মাঠে নামেন কপিল দেবরা। লর্ডসে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৮৩ রানে অল আউট হয়েছিল ভারত। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আউট হন গর্ডন গ্রিনিজ। এরপর নামেন ভিভ। ২৭ বলে ৩৩ রান করার পথে ৭টি বাউন্ডারিও মারেন। এমন সাবলীল ভঙ্গিতে খেলছিলেন যে, মনে হচ্ছিল একাই ফাইনাল জিতে নেবেন। হঠাৎ মদন লালের বলে মিস টাইমিং করেন ভিভ। বল আকাশে ওঠে। প্রায় ৩০ গজ পেছনে দৌড়ে অবিশ্বাস্যভাবে ক্যাচটা লুফে নেন কপিল দেব। ধারণা করা হয় সেই ক্যাচের জন্যই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
বার্বাডোজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ধরেছেন সূর্যকুমার যাদব। ফাইনালের শেষ ওভারের প্রথম বলটা হার্দিক পান্ডিয়া ফুলটস করেছিলেন। ডেভিড মিলার সর্বশক্তি দিয়ে ব্যাট চালান। বল উড়ে যাচ্ছিল লং অফ বাউন্ডারির দিকে। চোখ রেখেছিলেন সূর্য। ক্যাচটা তালুবন্দি করলেও ভারসাম্য রাখতে পারছিলেন না।
বলটা আলতো করে বাতাসে ছুড়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যান সূর্য। এরপর আবার ভেতরে এসে ক্যাচ ধরেন। মাত্র কয়েক ইঞ্চির জন্য যা ছক্কা হয়নি। হার্দিকের বলে বাউন্ডারি লাইনে ডেভিড মিলারের ক্যাচ ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। শনিবার (২৯ জুন) অনবদ্য সেই ক্যাচের পর ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার জিতেছেন সূর্য। পুরস্কার হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘সেই মুহূর্তে বলটাকে দেখে আমার বিশ্বকাপ ট্রফি মনে হচ্ছিল। মনে হলো বিশ্বকাপটা সীমানার বাইরে উড়ে যাচ্ছে। এখন যদিও বেশ সহজে কথাগুলো বলতে পারছি। কিন্তু সে সময় কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। সবার হয়তো মনে হয়েছিল, ছক্কা হয়ে যাবে। আমার মনে হয়েছিল, বলটা আমার পক্ষে ধরা সম্ভব। তাই চেষ্টা করেছিলাম। সে সময় বাতাসের গতিও আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ছিল। তাতে আমার লাভ হয়েছে। অনুশীলনে আমাদের নানা রকম ক্যাচ ধরতে হয়। আমাদের ফিল্ডিং কোচ নানাভাবে অনুশীলন করান। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেভাবেই ক্যাচটা ধরেছি।’
মন্তব্য করুন