ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়কটের মুখে পড়েছে কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। ইসরায়েলি সমর্থনের অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকেরা পণ্যটি বর্জনের ডাক দেয়। এর প্রভাব বাংলাদেশেও লক্ষণীয়।
সম্প্রতি এই কোমলপানীয় ব্র্যান্ডের একটি নতুন বিজ্ঞাপন প্রচারে আসার পরপরই এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর বয়কটের ডাকে এখন সরব সোশ্যাল মিডিয়া।
কোকের বিজ্ঞাপনটি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত জনপ্রিয় বাংলাদেশি ইসলামি স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার (১১ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি বলেন- ‘কোরবানির আগে আগে ওদের বিজ্ঞাপনটা অনেকটা পাগলকে সাঁকো না নাড়ানোর অনুরোধের মতোই হয়েছে। পণ্য বয়কটের মুভমেন্ট খানিকটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার নতুন করে আরও চাঙ্গা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে কোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে অবস্থান নিন। যার যতটুকু সম্ভব ইসলাম বিদ্বেষী ও জালিমদের পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকুন। ধীরে ধীরে এটা অভ্যাসে পরিণত করুন। পণ্য বর্জন কতোটা শক্তিশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মালয়েশিয়াতে তা স্বচক্ষে অবলোকন করছি। এখানে ম্যাকডোনাল্ড এবং স্টারবাকস অনেকটা আইসিউতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জন এবং জনসচেতনতা চলবে একইসঙ্গে। শুধু পণ্যই নয়, ইসলাম বিদ্বেষী সবকিছুকেই বর্জন করতে হবে। এবারের ঈদ হোক ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত, হোক চিহ্নিত সব ইসলাম বিদ্বেষী পণ্যমুক্ত।’
এদিকে ‘যেই দোকানে থাকবে কোক সেই দোকান-ই বয়কট হোক’- এমন অভিনব স্লোগানে কোকাকোলা বয়কটের দিচ্ছেন নেটিজেনরা। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা শিল্পিদের বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন তারা।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের জেরে ইসরায়েলি সমর্থনের অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকরা কোকাকোলা বয়কটের ডাক দেয়। সেই বয়কটের প্রভাবও পড়ে বাংলাদেশে। সম্প্রতি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে কোকাকোলা বাংলাদেশ।
সেই বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে- কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় কোকাকোলা। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে।
মন্তব্য করুন