ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় সামাজিকমাধ্যমজুড়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। অনলাইনে প্রায় ৬৭ ভাগ মানুষ আসিফ মাহতাবের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। কালবেলার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে চালানো মতামত জরিপে এমন তথ্য দেখা গেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত চালানো জরিপে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ মতামত দিয়েছেন।
শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের পাতা ছেঁড়ায় শিক্ষক মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন? এমন শিরোনামে গত সোমবার কালবেলার ইউটিউব চ্যানেল ‘কালবেলা নিউজ’-এ একটি মতামত জরিপ চালু করা হয়। বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সেখানে মতামত দেন ৬৭ হাজার ১৩২ জন।
জরিপে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন ৫ ভাগ বা ৩ হাজার ৩৫৬ জন। আর আসিফ মাহতাবকে বহিষ্কারের বিপক্ষে মত দেন ৯৩ শতাংশ বা ৬২ হাজার ৪৩২ জন। এ ছাড়া মন্তব্য নেই অপশনে মতামত দেন ২ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৪২ জন।
ইউটিউব ছাড়াও কালবেলার ওয়েবসাইটে মতামত জরিপ করা হয়। সোমবার রাত ৮টা ৩৬ মিনিট থেকে চালু হওয়া মতামত জরিপে বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত মতামত দেন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১শ ৯৩ জন।
কালবেলার ওয়েবসাইটের মতামতে দেখা যায়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন ৩৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৩ জন। আর আসিফ মাহতাবের পক্ষে মতামত দেন ৬৩ দশমকি ৩৮ শতাংশ বা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯২ জন। আর মন্তব্য নেই বলে মতামত দেন শূন্য দশমিক এক সাত শতাংশ বা ৭৪৩ জন।
ওয়েবসাইট ও ইউটিউব মিলে মোট মতামত দিয়েছেন ৫ লাখ ৪ হাজার ৩২৫ জন। এরমধ্যে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৪৭ জন বা ৩২ দশমকি ৩১ শতাংশ। আর আসিফ মাহতাবের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২০৯ জন বা ৬৭ দশমকি ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া মন্তব্য নাই বলে মতামত দিয়েছেন ৩ হাজার ১৭৭ জন বা শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্প ‘শরীফ থেকে শরীফা’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য এবং প্রকাশ্যে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন চাকরি হারান দর্শনের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। গেল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন মানুষ। কেউ কেউ বলছেন, আসিফ মাহতাব একজন শিক্ষক হয়ে বই ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না তিনি। অনেকেই আবার এ ধরনের প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়ে চাকরিচ্যুতের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেছেন।
মন্তব্য করুন