কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শরীফ থেকে শরীফা

সেই শিক্ষকের পক্ষে সামাজিকমাধ্যমে তোলপাড়

আসিফ মাহতাব। ছবি : সংগৃহীত
আসিফ মাহতাব। ছবি : সংগৃহীত

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে পাঠ্যবই ছিঁড়ে বিতর্কের মুখে পড়েন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এ ঘটনায় পরই তাকে ক্লাস নিতে নিষেধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে আসিফের এমন কার্যকলাপ নিয়ে কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করলেও তার পক্ষে কথা বলছেন অনেকেই।

আসিফ মাহতাবের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বিজয় বলেন, সপ্তম শ্রেণির বইয়ের শরিফার গল্পের শুরুতেই যদি তার তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হতো, তবে কোনো সমস্যা হতো না। তবে শুরুতে তাকে একটি ছেলে হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বলা হয় যে, সে মনে মনে নিজেকে একজন নারী মনে করে। এটি মূল সমস্যা। এ নিয়ে আসিফ মাহতাবের প্রতিবাদের ভাষা ভিন্ন হওয়ায় তাকে শোকজ করা যেত। তবে একটি ফোনকলের মাধ্যমে তাকে চাকরিচ্যুত করা উচিত হয়নি বলে দাবি তার।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্টে লিখেন, ট্রান্স মতবাদ বাস্তবায়নে চক্রান্ত করা হচ্ছে। একটা সেমিনারে বইয়ের দুইটা পাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণে চাকরি চলে যাবে কেন? ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কেন এই ইস্যুতে কঠিন পদক্ষেপ নিল সেই প্রশ্নও তুলেন তিনি।

এ বিষয়ে ইসলামি প্রভাষক এইচএম শফিউল আজম বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের এই বিষয়টি ইসলাম সমর্থন করে না। আসিফ মাহতাব উৎসকে চাকরি থেকে বের করার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে মনে করেন তিনি। এদিকে কেউ কেউ আবার ফেসবুকে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের ট্রান্সজেন্ডার অধ্যায়ের পৃষ্ঠা ছেঁড়ার ভিডিও আপলোড করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। ওই অনুষ্ঠানে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফি বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এ সময় তিনি সপ্তম শ্রেণির ওই বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ অংশের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান।

এরপরই রোববার রাতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আসিফ মাহতাবকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান তিনি।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, আসিফ মাহতাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড্ডায় ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা ৩

চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করল সেই পাকিস্তানি জাহাজ

সংলাপে বক্তারা / গত ১৫ বছর গণমাধ্যম জনগণের কথা বলেনি

‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন

প্রশাসন ক্যাডারের ইয়াং অফিসার্স ফোরামের সভাপতি শুভ, সা. সম্পাদক জয়

সাদপন্থি নেতা মুফতি মুআজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে

চলাচলের রাস্তায় যুবলীগ নেতার সবজি চাষ

গাজা উপত্যকা এখন মানবতার কবরস্থান : জাতিসংঘ

ক্ষেপণাস্ত্র সমালোচনা / যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দিল পাকিস্তান

গাজীপুরে বোতাম কারখানায় ভয়াবহ আগুন

১০

মেলবোর্ন সাংবাদিকের সঙ্গে বাদানুবাদে কোহলিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড়

১১

দেশের বাজারে এলো পেট্রোনাস নেক্সটা 

১২

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা 

১৩

‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠার দাবি প্রশাসন ক্যাডারদের

১৪

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল না কিনলে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

১৫

কাতারে বিজয় মেলার পর্দা নামল

১৬

নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি

১৭

আবারও বৃষ্টির আভাস, বাড়তে পারে শীতের প্রকোপ

১৮

আলবেনিয়ায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ টিকটক

১৯

দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক : ডা. শফিকুর রহমান

২০
X