সম্প্রতি কারাগারে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে দাবিতে ‘কারাগারে মর্মান্তিকভাবে ফাঁসি তে ঝুলছে ব্যারিস্টার সুমন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। বিষয়টি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের নজরে এসেছে।
সংস্থাটির টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
মিরপুর ও আদাবর থানায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হওয়া দুটি হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ অক্টোবর হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। পরে আন্দোলনের সময় বনশ্রীতে নিহত মুদি দোকানি মিজানুর রহমান হত্যা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলো পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার দেখতে পায়, প্রতিটি পোস্টেই মন্তব্যের ঘরে আলোচিত তথ্যের বিস্তারিত বিবরণী থাকার দাবি করা হয়। পোস্টগুলোর মন্তব্যের ঘর পর্যালোচনা করে সবগুলো পোস্টে সূত্র হিসেবে একই লিংকের সন্ধান পাওয়া যায়।
ওই লিংকে প্রবেশের পর একটি ব্লগপোস্ট ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ‘কারাগারে মর্মান্তিকভাবে ফাঁসি তে ঝুলছে ব্যারিস্টার সুমন’ শীর্ষক একটি শিরোনাম এবং ব্যারিস্টার সুমনের একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ ছাড়া লিংকটিতে প্রবেশের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেটি প্রতিবারই ভিন্ন আরেকটি বিজ্ঞাপনের পেজে নিয়ে যায়।
পরে দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানেও গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সুমনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ কারাগার থেকে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের দাবিটি কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং কারাগারে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্তব্য করুন