ঢাকা-বেইজিং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চীন সফরে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বুধবার দুপুর ১টায় চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা দেন তিনি।
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সড়ক পরিবহন, সেতু বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে।
এর মধ্যে ফাওজুল কবির খানকে নিয়ে বেসরকারি চ্যানেল যমুনার টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মনিরুল ইসলামের একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি জ্বালানি উপদেষ্টার সাধারণ জীবনযাপন নিয়ে লেখেন। মুহূর্তেই তার পোস্টটি ভাইরাল হয়।
পোস্টের কমেন্টে বেশির মানুষকে ফাওজুল কবিরের সাধারণ জীবযাপনের প্রশংসা করতে দেখা গেছে।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সাথে চীন সফরে যাওয়া এই উপদেষ্টার নাম ফাওজুল কবির খান (লালবৃত্তে)। সরকারের সবচেয়ে বেশি বাজেটের ৫টা মন্ত্রণালয় তার অধীনে। সড়ক পরিবহন, সেতু বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ ও রেল। আগে এসব জায়গার মন্ত্রীদের লাইফস্টাইল সবার মুখস্থ। তবে এই লোকটার অবস্থা দেখে আমার বেশ ভাল লাগছে। পুরাতন একটা জামা পুরাতন গ্যাবাডিং প্যান্ট আর কেডসটার বয়স দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে বাম পায়ের জুতার ছৌল একপাশে ঢেবে আছে। নিজের হ্যান্ড ব্যাগ কাধেই ক্যারি করছেন সরকারের ৫টা বিভাগের প্রধান।’
তিনি বলেন, ‘আরেকজন কথাও বলা উচিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে এই একটা ব্লেজার পরে কতগুলো ইন্টারভিউতে যে দেখছি, তা অসংখ্য। আমার কাছে এমন সাধারণ জীবন যাপন বড্ড আনন্দের।’
সাবেক সরকারের এক মন্ত্রীর সমালোচনা করে সাংবাদিক মনির হোসেন বলেন, ‘সড়ক পরিবহনমন্ত্রী একজন ছিলেন, যার ঘড়ির দাম ছিল ২৮ লাখ, ১২ লাখ, ৯ লাখ। তা নিয়ে খবরও বের হয়েছিল।’
এ সময় তিনি সেসব লিংক দেখতে চাইলে আছে কমেন্টে আছে বলে জানান।
এই পোস্টে রেজাউল ইসলাম সোহাগ নামে একজন লেখেন, ‘ভালো কাজের এবং সৎ লোকের প্রশংসা করলে তারা ভালো কাজ করার এবং সৎ হয়ে চলার উৎসাহ পান। ধন্যবাদ আপনাকে সাংবাদিক সাহেব।’
নুর নবী রবির নামের একজন লেখেন, ‘ফাওজুল কবির খান এই সরকারের সবচেয়ে যোগ্য মানুষ।’
নিজাম উদ্দিন সুমন নামের একজন লিখেছেন, ‘আমাদের সন্দ্বীপের কৃতী সন্তান, দ্বীপের স্বপ্নদ্রষ্টা জনাব ফাওজুল কবির খান স্যার। যিনি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও যা হয়নি, মাত্র সাত মাসে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম ফেরী সার্ভিস চালু করেছেন।’
তবে অনেককেই আবার নেতিবাচক কমেন্ট করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন