চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী তামান্নার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদকে কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে জেল থেকে নিয়ে আসবেন বলে ভিডিওতে জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে তামান্না শারমিন বলেন, ‘আমার জামাই (স্বামী) গতকাল রাতে অ্যারেস্ট হইছে। এটা নিয়ে এতো হাই হুল্লাস (হাই হুতাশ) করার কিছু নাই। মামলা যখন আছে, অ্যারেস্ট হবে। এগুলো নিয়ে এত টেনশন করা, দুঃখ প্রকাশ করা, কান্নাকাটি করার কিছুই নাই। আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই অ্যারেস্ট হইছে আর কোনোদিন বের হতে পারবে না, ওদের জন্য এক বালটি (বালতি) সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন যারা এই ঘটনা ঘটাইছে, তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না; মাথায় রাইখো। এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষে আমার কাছে আসবে। তখন খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা। আমার জামাই সাজ্জাদের যারা সাপোর্টার আছো সবাই দোয়া করবা, যাতে ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করাই ফেলতে পারি। ঠিক আছে, ধন্যবাদ।’
এদিকে এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানী থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জাহাংগীর।
সাজ্জাদ চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজীদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেনকে ন্যাংটা করে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। ‘বুড়ির নাতি’ নামে পরিচিত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
লাইভে সাজ্জাদ বলেন, ‘ওসি আরিফ দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, তাকে নগরের অক্সিজেনে ধরে এনে পেটাব। প্রয়োজনে মরে যাব। কিন্তু হার মানব না।’ ফেসবুক লাইভে ওসিকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুকে ন্যাংটা করে পেটাব।’ এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে বলেন, ‘ওসি আরিফ চাঁদাবাজিসহ আমার সন্তান হত্যায় জড়িত। তাকে যাতে বদলি করা হয়।’ পরে এ ঘটনায় জিডি করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান।
মন্তব্য করুন