মাগুরায় নির্যাতনের শিকার হয়ে পরবর্তী সময়ে মারা যাওয়া সেই শিশুটির পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (১৬ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবার নিতান্তই একটি অসহায় পরিবার। তার পিতা একজন মানসিক রোগী। এ পরিবারে অন্য কোনো পুরুষ সদস্য নেই। মানবিক কারণে এই পরিবারের দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনশাআল্লাহ নিচ্ছে।
তিনি আরও লেখেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি মজলুম এই পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। সবার কাছে দোয়ার আবেদন, আল্লাহ তাআলা যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমাদের তাওফিক দান করেন। আমিন।
এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টায় শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে যান জামায়াত আমির। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির এম এ বাকেরসহ দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ভারতীয় অপসংস্কৃতি আর মাদকের বিপরীতে কোরআনের আইন চালু হলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে বলেই আমরা লড়াই করছি।
তিনি বলেন, ৯০ দিনের ভেতরে আছিয়ার মামলার বিচার করে রায় কার্যকর দেখতে চাই। ৯১ দিন যেন পার না হয়।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আছিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
মন্তব্য করুন