শাহবাগ কোনো ট্যাগ নয়, ফ্যাসিবাদের প্রতীক বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, “শাহবাগ কোনো ট্যাগ নয়, ফ্যাসিবাদের প্রতীক।
‘বিচার চাই না, ফাঁসি চাই’- এই থিওরির মাধ্যমেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল শাহবাগী গোষ্ঠী। তারা আদর্শিক হেজেমনি দিয়ে দেশে ইসলামোফোবিয়া এবং আবহমান সম্প্রীতির সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। হাসিনাকে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হিসেবে তৈরি করেছে। শাপলা গণহত্যা ও আল্লামা সাঈদীর রায়ের প্রেক্ষিতে গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল এরাই।
শাহবাগে তৈরিকৃত ফ্যাসিবাদী পাটাতনে দাঁড়িয়ে হাসিনা জুলাইসহ যত গণহত্যা চালিয়েছে এর দায় অবশ্যই এদের নিতে হবে।
আমরা ফ্যাসিবাদের দালালদের ন্যায়বিচার চাই।”
এর আগে, একই দিন শাহবাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শাহবাগ একদিনে গড়ে ওঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তোলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশি এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।
শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এ দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।
শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সব অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।
আমরা আশা রাখি, সবার প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত।
পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সব অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
মন্তব্য করুন