সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে উত্তাপ না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবকু প্রোফাইলে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, আমাকে উপলক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ না ছড়ানোর আন্তরিক অনুরোধ। যারা রক্তস্নাত জুলাই অভ্যুত্থ্যানের ইতিহাস চর্চায় আমার অবস্থান নির্ধারণ করেছেন অথবা বন্ধু-স্বজন হিসেবে সরকারের পদ-পদবিতে সম্মুখ সারিতে দেখতে চাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার সবিনয় নিবেদন, আমাকে আমার মতোই থাকতে দিন।
এর আগে, সকালে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন লিখেছেন, মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আমরা রাষ্ট্রদূত হিসেবে চাই না। তাকে একাধারে মেক্সিকোসহ উত্তর আমেরিকার ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা তার জন্য সম্মানের হলেও স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং হোয়াইট হাউজে তার যে শূন্যতা সেটা মোদির সফরে আমরা হারে হারে টের পেয়েছি।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিচার বিভাগসহ ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে তার যে ঘনিষ্টতা রয়েছে সেটা সরকারের কাজে লাগানো উচিত। সরকারে রাখতে চাইলে তাকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা করার দাবি থাকল।
গত ২৭ জানুয়ারি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। এ ছাড়া ওই পোস্টে তিনি লেখেন- ‘নতুন কর্মস্থলের প্রথম দিন’।
মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডি ডটকমের সম্পাদনার পাশাপাশি স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের সদরদপ্তর ও হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানা প্রশ্ন করতেন। এর আগে সাংবাদিকতায় সাহসী ভূমিকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে ২০১৫ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
মন্তব্য করুন