ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এসব প্রচার সঠিক নয় বলে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কারাগারে বিচারপতি মানিকের মৃত্যুর খবরটি সত্য নয় বরং, কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বিশ্বস্ত কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাধারণত, সাবেক বিচারপতি মানিকের মতো আলোচিত ব্যক্তিত্ব মৃত্যুবরণ করলে সেটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতো। তবে নির্ভরযোগ্য কোনো গণমাধ্যমে এ তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ তথ্য না পাওয়ায় প্রচারিত দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ হয়।
গত বছরের ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আটক করে। পরের দিন সিলেটের বিচারিক হাকিম আলমগীর হোসেন বিচারপতি মানিককে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ওইদিন বিকালে আদালতে তোলার সময় আলোচিত এই বিচারপতিকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে, যার ফলে প্রচণ্ড আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানিককে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তিনি কারাগারেই আছেন, সুস্থ আছেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল Somoy TV-এর ফেসবুক পেজে ‘আমার জন্য দোয়া কইরেন, আকুতি পলকের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বিচারপতি শামসুজ্জামান মানিককে সুস্থভাবে প্রিজন ভ্যানের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তার অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে আর কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
অর্থাৎ তার বিষয়ে সবশেষ প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, বিচারপতি মানিক এখন কারাগারে আছেন। সুতরাং, সাবেক বিচারপতি শামসুজ্জামান মানিক কারাগারে মারা গেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্তব্য করুন