বিশিষ্ট লেখক, দার্শনিক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল মানে ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা পুনর্বহাল বা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল মানে ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা পুনর্বহাল বা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা। অতএব ফ্যাসিস্ট বাঙালি জাতিবাদী শক্তি এবং হিন্দুত্ববাদী দিল্লির ইসলাম নির্মূল রাজনীতির ধারক ও বাহকদের প্রপাগান্ডায় ভুলবেন না।
কালবেলার পাঠকদের জন্য ফরহাদ মজহারের স্টাটাসটি তুলে ধরা হলো-
বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল মানে ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা পুনর্বহাল বা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা।
অতএব ফ্যাসিস্ট বাঙালি জাতিবাদী শক্তি এবং হিন্দুত্ববাদী দিল্লির ইসলাম নির্মূল রাজনীতির ধারক ও বাহকদের প্রপাগান্ডায় ভুলবেন না। বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল মানে মোটেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা নয় বরং তার সম্পূর্ণ বিপরীত। বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয়, স্বাধীনতার ঘোষণাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা। অতএব জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণায় অবশ্যই বাহাত্তর সালের সংবিধান বাতিল এবং নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা থাকতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ বাঙালি জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা উৎখাত করেছে এবং শুধু সেকুলার ফ্যাসিবাদ নয়, একই সঙ্গে সকল প্রকার ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ এবং ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে তাদের চলমান ঐতিহাসিক লড়াইকে বিশ্ব-ঐতিহাসিক মর্যাদা দান করেছে। হিন্দুত্ববাদ ও উগ্র পরিচয়বাদী মুসলিম জাতিবাদ একই মুদ্রার দুই পিঠ। অতএব লড়াই চলবে।
শেখ হাসিনার বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট সংবিধান বাতিল করে দিয়ে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতাবলে (Popular Sovereignty) পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করাই এখনকার ঐতিহাসিক কর্তব্য। যে সকল মতবাদ ও শক্তি বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতাকে খর্ব করে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই আরও তীব্র ও তীক্ষ্ণ করা হবে।
মন্তব্য করুন