প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের তিনটি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
ওই পোস্টে সোহেল তাজ বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের ৩টি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, ‘ও এত বড় কী হয়ে গেল যে ৩টা জানাজা পড়াতে হবে?’
প্রতিউত্তরে কাঁচুমাচু করে ওবায়দুল কাদের আমতা আমতা করে জবাবে বলেছিলেন, ‘নেতাকর্মীরা ওনাকে অনেক পছন্দ করে আর তাদেরই দাবি, না মানলে সামলানো যাবে না।’
এ সময় পোস্টে তিনি ‘সিরিজ চলবে, এখন আমার পালা’ বলেও ইঙ্গিত দেন।
সোহেল তার পোস্টের সঙ্গে একটি সংবাদের শিরোনামের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সে সংবাদের শিরোনামটি হলো, ‘২০১৪ সালের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।’ তবে সংবাদটি একটি দৈনিকের অনলাইন পোর্টালে পাওয়া যায়।
পোস্টের শেষে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড-নষ্ট-পচা নীতি বা আদর্শবিচ্যুত লুটেরা-খুনি, হত্যা-গুম-নির্যাতনকারীদের সমর্থক সবাইকে বলব অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজটি আনফলো করতে।’
নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি-আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার অনুরোধও করেন তনি।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগেছিলেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তার ফুসফুসের ক্যানসার চতুর্থ ধাপে পৌঁছে। পরে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ৬ জানুয়ারি ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে তার জন্ম হয়। তার বাবা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে সপ্তম ও অষ্টম, কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ছিলেন।
মন্তব্য করুন