সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন জঙ্গিবাদী শাসন চলছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওতে একটি লোকালয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষকে প্রকাশ্যে মারধরের দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে।
এই দাবি সঠিক নয় বলে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, লোকালয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষকে প্রকাশ্যে মারধরের এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, গত জুন মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় এক পুরুষ ও এক মহিলাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার ঘটনাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি থেকে কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর ওয়েবসাইটে গত ১ জুলাই ‘Couple whipped in Bengal: Police add sterner sections of attempt to murder, molestation’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির ফিচার ইমেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর একটি ফ্রেমের দৃশ্যের সাথে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
ফিচার ইমেজটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি গত ২৮ জুনের একটি ঘটনা। ক্যাঙ্গারু কোর্টে এক পুরুষ ও এক মহিলাকে চাবুক, লাথি ও ঘুষি মারার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় এক পুরুষ ও এক মহিলাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
এছাড়াও, হিন্দুস্তান টাইমস এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ এটি নিশ্চিত যে আলোচিত মারধরের ভিডিওটি ভারতের।
সুতরাং ভারতের লোকালয়ে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
মন্তব্য করুন