আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এরপর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। নানা ইস্যুতে দুই দেশের রাজনীতিবিদরা উচ্চকণ্ঠ। তাদের হুমকি-ধমকি ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
তবে ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যেমন অপপ্রচার আছে, তেমনি দেশটির এবং অন্য নানা ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে বলে প্রচার করছে বিশেষ কিছু মহল। এমন অনেক ঘটনার সত্যতা বা কোন দেশে ঘটেছে সে ঘটনা, সেসব ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
ভারতের বিহারের ঘটনা ময়মনসিংহের বলে প্রচার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ গৌরীপুরের একটি এলাকায় স্থানীয়দের দ্বারা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ধর্ষণের ঘটনার। এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ ঘটনা ভারতের বলে জানায়।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত এই ভিডিও বাংলাদেশের ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্থানীয়দের দ্বারা হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর কিংবা ধর্ষণের কোনো ঘটনার নয় বরং ভারতের বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া জেলার একই পরিবারের তিন সন্তানসহ মায়ের মৃত্যুর ঘটনার ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Asad Raza Arn’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৮ নভেম্বর ‘Kilpara Gaon Pyaji panchayet Jila Purnia Ka hai yeh Hadsha’ শিরোনামের একটি পোস্টে মূল ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।
হিন্দি ভাষায় দেওয়া ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ণিয়া জেলার পায়াজি পঞ্চায়েতের কিলপাড়া গ্রামে, যেটি ভারতের বিহারে অবস্থিত।
এ ছাড়া ‘Md Garib Nawaz’ নামের অপর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও গত ৭ নভেম্বর ‘Kilpara Purnia Bihar’ শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির শিরোনামে দেওয়া তথ্য থেকেও ওই ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
পরবর্তীতে BC 24 News নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৭ নভেম্বর প্রকাশিত উক্ত ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখিত বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, একই পরিবারের মা ও তিন সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি বিহারের রাউতা থানার কিলপাড়া গ্রামের।
তা ছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম ‘Press Trust of India’-এর ওয়েবসাইটে গত ৭ নভেম্বর ‘Bihar: Bodies of woman, three children found hanging inside hut’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও ওই ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভারতের বিহারের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ধর্ষণের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর দাবিটি ভুয়া
হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানো হচ্ছে, এমন দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক লোককে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
কিন্তু ভারতে এই ভিডিও ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, হিন্দু সাধুকে জোর করে মুসলিম বানানো হচ্ছে। এটিকে সঠিক নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
সংস্থাটি বলছে, হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর ভিডিওটি ভারতে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই দাবিটি সঠিক নয়; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, তাদের অনুসন্ধানী টিম জানতে পেরেছে, এই ভিডিওটি হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর কোনো ঘটনার নয় বরং রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ওই ব্যক্তিকে পরিষ্কার করার মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়। তা ছাড়া ভিডিওর ব্যক্তিটি মুসলিম ধর্মের অনুসারী।
তারা আরও জানতে পেরেছে, ‘মাহবুব ক্রিয়েশন ফোর’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ অক্টোবর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
তবে ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই নামের একটি ফেসবুক পেজে থেকেও গত ২৬ অক্টোবর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। সেই পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা গেছে, পোস্টদাতারা ব্যক্তিটির দুরবস্থার কারণে তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছিলেন।
সংস্থাটি বলছে, ফেসবুকের এই পেজের আগের ভিডিওগুলো দেখে জানা গেছে, পেজটিতে নিয়মিতই এমন মানবিক উদ্যোগের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অসহায় লোক এবং পাগলপ্রায় ব্যক্তিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলার চেষ্টা করে থাকেন তারা।
একই পেজে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আলোচিত ভিডিওতে থাকা একজন ব্যক্তির একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে আলোচিত ভিডিওর বিষয়ে তিনি জানান, উক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবার মুসলিম। হিন্দু সাধুকে জোর করে মুসলিম বানানোর দাবিটি মিথ্যা। ভারতে তাদের ভিডিও ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সুতরাং অন্য ঘটনার ভিডিওকে হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর দাবিতে প্রচার করা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ভারতের পতাকা মাড়ানোর ভাইরাল ছবিটি ‘এআই’ দিয়ে তৈরি
সম্প্রতি ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ে মাড়ানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে ছবিটি বাস্তব নয় এবং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনের সমাপ্তি ঘটে। সরকার পতনের পরের দিনগুলোতে দেশে সহিংসতা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এ সময় সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, লুটপাট ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার প্রভাব ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও পড়ে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের সামনে জাতীয় পতাকা পোড়ানো এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত এক ব্যক্তি ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ে মাড়াচ্ছেন। তবে এই ছবি বাস্তব নয়, এটি বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে তৈরি।
সংস্থাটি বলছে, টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ে মাড়ানোর ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয় বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ ব্যবহার করে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানেও ছবিটি শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হতে দেখা গেছে। সাধারণত এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি জাতীয় গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়।
শ্যামলী পরিবহনের বাস নিয়ে ভারতে অপপ্রচার
সম্প্রতি ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ট্রাক ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ঘটায় দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে আরও দাবি করা হয়, শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের সামনে ভারতবিরোধী নানা স্লোগানও দিয়েছে। একই দাবিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। এ ছাড়া তথ্যটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, তাদের টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয়। এ ছাড়া ভারতীয় যাত্রীদের হয়রানি করার তথ্যটিও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে ওভারটেকিং জনিত কারণে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ১ ডিসেম্বর ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলা নয়, দুর্ঘটনা ঘটেছে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলার দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলোর প্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। ওই সম্মেলনে বাসের চালকও মো. আসাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি জানায়, সুতরাং ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে পরিকল্পিতভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আক্রমণ করা হয় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্দিরে হামলার ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, পশ্চিমবঙ্গের
‘বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে’- এমন দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আরটি ইন্ডিয়া। নিজেদের এক্স অ্যাকাউন্টে এ শিরানামে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে সাংবাদ মাধ্যমটি। তবে তথ্যটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেক সংস্থা রিউমার স্ক্যানার। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আরটি ইন্ডিয়া ভিডিওটি প্রচার করে।
তবে রিউমার স্ক্যানার বলছে, প্রথমত মন্দিরে হামলার দাবিটি মিথ্যা। কারণ ভিডিও ফুটেজটি মন্দিরে হামলা কিংবা ভাঙচুরের নয়। দ্বিতীয়ত যে ভিডিও ফুটেজ বাংলাদেশের বলে প্রচার করা হয়েছে, সেটা আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি কালীমন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্য।
এ ছাড়া, পল্লী দামোদর নামক একটি ভারতীয় স্থানীয় গণমাধ্যমের পেজে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খণ্ডঘোষ সুলতানপুরের মণ্ডলবাড়িতে দীর্ঘ ১২ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এ কালীমাতা নিরঞ্জন। যা ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্য।
বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের মন্দিরে হামলার যে দাবি প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও জানিয়েছেন রিউমার স্ক্যানার।
মন্তব্য করুন