হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানো হচ্ছে, এমন দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক লোককে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
কিন্তু ভারতে এই ভিডিও ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, হিন্দু সাধুকে জোর করে মুসলিম বানানো হচ্ছে। এটিকে সঠিক নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার।
সংস্থাটি বলছে, হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর ভিডিওটি ভারতে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই দাবিটি সঠিক নয়; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, তাদের অনুসন্ধানী টিম জানতে পেরেছে, এই ভিডিওটি হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর কোনো ঘটনার নয় বরং রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ওই ব্যক্তিকে পরিষ্কার করার মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়। তা ছাড়া ভিডিওর ব্যক্তিটি মুসলিম ধর্মের অনুসারী।
তারা আরও জানতে পেরেছে, ‘মাহবুব ক্রিয়েশন ফোর’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ অক্টোবর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
তবে ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই নামের একটি ফেসবুক পেজে থেকেও গত ২৬ অক্টোবর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। সেই পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা গেছে, পোস্টদাতারা ব্যক্তিটির দুরবস্থার কারণে তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছিলেন।
সংস্থাটি বলছে, ফেসবুকের এই পেজের আগের ভিডিওগুলো দেখে জানা গেছে, পেজটিতে নিয়মিতই এমন মানবিক উদ্যোগের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অসহায় লোক এবং পাগলপ্রায় ব্যক্তিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলার চেষ্টা করে থাকেন তারা।
একই পেজে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আলোচিত ভিডিওতে থাকা একজন ব্যক্তির একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে আলোচিত ভিডিওর বিষয়ে তিনি জানান, উক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবার মুসলিম। হিন্দু সাধুকে জোর করে মুসলিম বানানোর দাবিটি মিথ্যা। ভারতে তাদের ভিডিও ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সুতরাং অন্য ঘটনার ভিডিওকে হিন্দু ধর্মের সাধুকে জোর করে মুসলমান বানানোর দাবিতে প্রচার করা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মন্তব্য করুন