দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটায় ভর্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করলেই অনেক শিক্ষার্থীর পোষ্য কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ মিলে। এতে বৈষম্যের শিকার হন বিপুলসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী। পোষ্য কোটার কারণে অনেক যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারান।
এবার পোষ্য কোটা বাতিল চেয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘পোষ্য কোটা’ নামক তেলা মাথায় তেল দেওয়া কালচার অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
প্রথম দফায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চাকরিতে সব কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন হাইকোর্ট এক রায়ে কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দেন। ফলে চাকরিতে কোটা প্রথা আবার বহাল হয়।
এরপর ফের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করে ছাত্ররা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তারা আন্দোলন করতে থাকে। দ্বিতীয় দফা টানা আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ১ জুলাই থেকে। অহিংস এই আন্দোলন সহিংস হয় ১৫ জুলাই থেকে। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নেয় গণআন্দোলনে। গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে এই আন্দোলনে চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে গত ৫ আগস্ট। পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন