বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থেকেই অবসরে যান আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। বিভিন্ন সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেন।
বুধবার (০৬ নভেম্বরে) তিনি তার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তিনি বলেন, আপনারা আছেন আমেরিকা নিয়ে। রেলে বিগত এক যুগ ধরে ৩৭টি ট্রেন বেসরকারি পর্যায়ে চলে। মানে প্রাইভেটে দেওয়া হয়েছে। তারা রেলকে দৈনিক নামমাত্র একটা ভাড়া দেয়। কিন্তু ওই ট্রেনের তেল খরচ, স্টাফ বেতন সব দেয় রেল। কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেটাও বদলাতে হয় রেলকে।
তিনি আরও বলেন, কারো ক্ষমতা আছে নাকি, একটু হিসেব বের করুন তো এই ৩৭টি ট্রেনে আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে নেট লস কত হয়। প্রতি বছর জনগণের কত টাকা শ্রাদ্ধ হচ্ছে!
মাহবুব কবীর মিলন বলেন, বর্তমানে যারা চালাচ্ছেন, তাদেরও চ্যালেঞ্জ দিলাম। তথ্য প্রকাশ করুন দেখি। খোঁজ নিন তো এদের চুক্তি কিভাবে রিনিউ হয়!
উল্লেখ্য, মাহবুব কবীর মিলন সবশেষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে আলোচিত এই কর্মকর্তাকে ২০২০ সালে ওএসডি করে রাখা হয়।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং কিছু সময়ের জন্য সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছিলেন। সে সময় খাদ্যে ভেজাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
সর্বশেষ সংকটে পড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। মাহবুব কবীরকে দেওয়া হয় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব।
মন্তব্য করুন