উত্তরবঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আবু বাকের মজুমদার।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,‘ অতি ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের কাছে পূর্বে উত্তলিত যে নগদ অর্থ আছে, সেটা দিয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা একান্তই কাম্য।’
প্রসঙ্গত, নীলফামারীতে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। রোববার সকাল ৬টায় ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বসতভিটার উঠানে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তবে সকাল ৯টায় পানি তিন সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারী ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
মন্তব্য করুন